এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার হাট-বাজারে গত তিন দিনের ব্যবধানে প্রতিমণ মরিচের পাইকারি দাম ২হাজার টাকা থেকে বেড়ে প্রতিমণ মরিচের দাম ৪হাজার ৮‘শ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এতে মরিচের পাইকারি প্রতি কেজি ১২০ টাকা। এবং বাজারে এ মরিচের খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ দরে। অতি বৃষ্টির ফলে এ এলাকার মরিচ পানিতে ডুবে ক্ষতি ও এবং অনেক এলাকার মরিচ শেষ হওয়ার কারণে হঠাৎ মরিচের সরবরাহ কমে যায়। চাহিদার তুলনা মরিচ সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বৃদ্ধি পায়।
মধুখালী উপজেলার হাটবাজার থেকে প্রতিদিন ঢাকা, খুলনা ও বরিশালসহ বেশ কয়েকটি এলাকার ব্যপারিরা মরিচ সরবরাহ করেন। মধুখালীতে ৯ আগস্ট সোমবার হাটে প্রতিমণ মরিচ পাইকারী ২হাজার টাকা, মঙ্গলবার তা বেড়ে ২হাজার ৮‘শ এবং বুধবার মধুখালী সদর মরিচ হাটে কাঁচামরিচের মণ ৪হাজার ৮‘শ টাকায় ব্যাপারিরা খরিদ করেন।
মধুখালী মরিচ বাজারের বড় আড়ৎদার মো. আতিয়ার রহমান মোল্যা জানান, ২হাজার টাকা মণের মরিচ বুধবার খরিদ করলাম প্রতিমণ মরিচ ৪হাজার ৭‘শ থেকে ৪হাজার ৮‘শ টাকা দরে। তিনি জানান, তার আড়তে ঢাকা, খুলনা, যশোরের মরিনরামপুসহ বেশ কয়েটি এলাকার ব্যাপারিরা আসেন মরিচ কিনতে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলভি রহমান জানান, মানিকগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি এলাকার মরিচ শেষ হয়েছে। মধুখালী উপজেলার কিছু মরিচ অতি বৃষ্টির কারণে নষ্ট হয়েছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি জানান, এ বছর মধুখালী উপজেলায় মোট ২ হাজার ৬‘শ ৪০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে। গত বছর এ উপজেলায় ২হাজার ৬‘শ ৫০ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হয়েছিল। এ বছর অতি বৃষ্টির কারণে উপজেলার ১ হেক্টর জমির মরিচ পুরোপুরি পানিতে ডুবে মারা গেছে এবং ১০ হেক্টর জমির মরিচ আংশিক পানিতে ডুবে ক্ষতি হয়েছে।
নীচু এলাকার মরিচ পানিতে ডুবে ক্ষতি হয়েছে বেশী। চাষি যে পরিমান বিনিয়োগ করেছিলেন সেটা ঘরে তুলতে না পেরে লোকসান গুনতে হয়েছে। যারা উচ্চু জমিতে মরিচের চাষ করেছেন এখন তারাই ৪/৫ হাজার টাকা মণ মরিচ বিক্রয় করে বেশ খুশি। মরিচ তুলতে প্রতি কেজি কৃষি শ্রমিককে দিতে হয়েছে ১০টাকা, ২ হাজার টাকা মণ বিক্রয় হয়েছে বাজারে। ৪/৫ হাজার টাকা প্রতি মণ মরিচ বিক্রয় হলেও সেই ১০টাকাই পাচ্ছেন প্রতি কেজি মুজুরী কৃষি শ্রমিক।
সময় জার্নাল/এমআই