রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

রাজীবপুরে কৃষি প্রশিক্ষণ ও যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ধান রোপন প্রদর্শনী

মঙ্গলবার, আগস্ট ১৭, ২০২১
রাজীবপুরে কৃষি প্রশিক্ষণ ও যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ধান রোপন প্রদর্শনী

রুহুল সরকার, রাজীবপুর প্রতিনিধি: 'অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন' প্রকল্পের আওতায় রাজীবপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে কৃষক কৃষাণী প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার(১৭ আগষ্ট) উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নির্বাচিত ৩০ জন কৃষক-কৃষাণী দুই দিন ব্যাপি এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে।

উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা খায়রুল ইসলামের সঞ্চলনায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম প্রশিক্ষণের মূল বিষয়বস্তু উপস্থাপন করেন।

প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী মাইদুল ইসলাম নামের এক প্রশিক্ষণার্থীর সাথে কথা হলে তিনি প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আমাদের বসত বাড়ির আশেপাশে অনেক জমি পতিত থাকে। সঠিক দিকনির্দেশনা বা পরিকল্পনার অভাবে সেই জায়গাগুলো আমরা কাজে লাগাতে পারি না। আজকে এই ট্রেনিং ক্লাসে এসে অনাবাদি ও পতিত জমিতে বছর ব্যাপি কিভাবে বিভিন্ন ধরনের শাখ সবজি ও মসলা ফসল চাষাবাদ করা যাবে সেগুলো  শিখেছেন।

নতুন এই প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে ১১ জনকে প্রকল্পের আওতায় মসলা ও সবজি ফসল উৎপাদনের জন্য বিনামূল্যে কন্দ, বীজ এবং রাসায়নিক সার দেওয়া হয়েছে।

একই দিনে রংপুর বিভাগ কৃষি ও গ্রামীন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার আজগর দেওয়ানী পাড়া গ্রামে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাইস ট্রান্সপ্লানটার দিয়ে আমন ধানের প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়েছে । সনাতন পদ্ধতিতে কৃষকদের শ্রমিকদের সাহায্যে প্রতি বিঘা ধান রোপনে ২০০০ টাকার মত খরচ হয়। রাইস ট্রন্সপ্লান্টার ব্যাবহারে প্রতি ঘন্টায় এক বিঘা জমির ধান রোপনে ব্যয় হয় মাত্র ১০০০ টাকা। এই পদ্ধতি ব্যবহার করলে কৃষকের ধান উৎপাদন খরচ কমবে এবং আর্থিকভাবে লাভবানও হবে কৃষক।

রাজীবপুরে উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, ক্রমবর্ধমান খাবারের চাহিদা মেটাতে কোন জমি খালি রাখা যাবে না। তাই পতিত এবং বসতবাড়ির আঙ্গিনায় যে জায়গা গুলো বছরের পর বছর পরে থাকে সেই জায়গা গুলোতে সবজি এবং মসলা জাতীয় ফসল যেমন আদা, হলুদ চাষে কৃষকদের উৎসাহী করতে প্রশিক্ষনের আয়োজন করা হয়েছে। পারিবারিক পুষ্টি বাগান থেকে কৃষক তার নিজের চাহিদা পূরণ করে অতিরিক্ত সবজি বাজারে বিক্রি করে আর্থীক ভাবে লাভবান হতে পারবে।

তিনি আরও বলেন কৃষকের ধান রোপন ও কর্তনে একটি মোটা অংকের টাকা খরচ হয়। এতে উৎপাদন ব্যায়ও বাড়ে। উৎপাদন খরচ কমাতে কৃষি বিভাগ আধুনিক পদ্ধতি ও যান্ত্রিক কৃষিতে গুরুত্ব দিচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ধান রোপনের জন্য রাইস ট্রান্সপ্লান্টার এবং কর্তনের জন্য কম্বাইন্ড হারভেস্টার আছে। যে কোন কৃষক চাইলে ভাড়া নিয়ে এসব কৃষি যন্ত্র ব্যবহার করতে পারবে। কৃষকদের এসব যন্ত্র ব্যবহারে উৎসাহী করতে বিভিন্ন সময় প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয় বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

সময় জার্নাল/এমআই 


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল