ডা. কামরুল হাসান সোহেল :
বরিশালে ইউএনও-র বাসভবনে হামলার ঘটনায় জড়িতদের ভিডিও ফুটেজ দেখে গ্রেফতার করা হবে,কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা-প্রধানমন্ত্রী। ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে, সরকার প্রধান তার কর্মচারীর নিরাপত্তা বিধান করবেন, তার পক্ষে ঢাল হয়ে দাঁড়াবেন এ তো স্বাভাবিক।
কিন্তু আজ পর্যন্ত শত, সহস্র চিকিৎসক সরকারি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন, আহত হয়েছেন, নিহতও হয়েছেন অনেকেই। একটি ঘটনাতেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী, সচিব বা কেউ দুঃখপ্রকাশ করেনি আজ পর্যন্ত, শাস্তি তো দূরের কথা, নির্যাতিতের পাশেও দাঁড়ায়নি কেউ। দুই পেশার লোকই কিন্তু সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার পূরণে দিন রাত সেবা দিয়ে যায় জনগণকে। কিন্তু এক পক্ষ যেখানে সরকার প্রধানের সরাসরি স্নেহ পায় অন্য পক্ষ সেখানে পায় কেবল অনাদর আর অবহেলা!
বাংলাদেশ এডমিনিস্ট্রেটিভ এসোশিয়েশন বরিশালের ইউএনও-র পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছে, তাদের দাবি স্পেসিফিক। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবত সাদিক আব্দুল্লাহর মত রাজনৈতিক নেতার বিচার চাইতেও দ্বিধাবোধ করে নাই। নিজেরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পরে নাই। তাদের দাবী মানতে বাধ্য হবে সরকার প্রধান এটা খুবই স্বাভাবিক।
বাংলাদেশ হেলথ ক্যাডার এসোশিয়েশন নামে সরকারী ডাক্তারদের একটি সংগঠন আছে যা কখনোই এমন ভূমিকা নেয়া তো দূরের কথা অধিকাংশ সময় চিকিৎসক প্রহৃত হলে, হেনস্তা হলে একটু নিন্দা ও জানাতে কুন্ঠাবোধ করে। যদি চিকিৎসকদের চাপের মুখে কখনো কোন দাবী তুলেও তখন নানা দলে, উপদলে বিভক্ত হয়ে সবাই চিকিৎসকের দোষ খোঁজা শুরু করে, কেউ কেউ দুর্বৃত্তদের সাথে মিউচুয়াল করার জন্য প্রেসার দেয়, কেউ কেউ দুর্বৃত্তদের পক্ষ নেয়। তাহলে চিকিৎসকরা মাইর খাবে এটাই স্বাভাবিক তাই না।