মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

অবশেষে জাপানি নারীর দুই মেয়েকে উদ্ধার

রোববার, আগস্ট ২২, ২০২১
অবশেষে জাপানি নারীর দুই মেয়েকে উদ্ধার

সময় জার্নাল প্রতিবেদক : দুই শিশু মেয়েকে ফিরে পেতে জাপানের টোকিও থেকে ঢাকায় এসে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জাপানের নাগরিক নাকানো এরিকো। হাইকোর্ট ৩১ আগস্ট দুই শিশুকে হাজির করতে তাদের বাবা ও ফুফুকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর আগেই ১০ ও ১১ বছর বয়সী মেয়ে দুটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিসানুল হক রোববার সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে কখন কোথা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।
 
জাপানের নাগরিক নাকানো এরিকো পেশায় একজন চিকিৎসক। ঢাকা এসে ১৯ আগস্ট হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। মেয়ে দুটির বাবা বাংলাদেশি শরীফ ইমরানের কাছ থেকে সন্তানদের নিজের জিম্মায় পাওয়ার আবেদন করেন তিনি।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই দুই শিশুকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন। গুলশান ও আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে শিশুদের আদালতে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া শিশুদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক তাদের বাবা যাতে দেশত্যাগ করতে না পারেন, সে জন্য ৩০ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

রিট আবেদনকারী পক্ষের তথ্যমতে, জাপানি আইন অনুসারে নাকানো এরিকো (৪৬) ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক শরীফ ইমরান (৫৮) ২০০৮ সালের ১১ জুলাই বিয়ে করেন। এরপর তারা টোকিওতে বসবাস শুরু করেন। এক যুগের দাম্পত্যজীবনে তাদের তিন কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। বর্তমানে তাদের বয়স যথাক্রমে ১১, ১০ ও ৭ বছর। তিন মেয়ে টোকিওর একটি স্কুলে পড়ছিল।

চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি এরিকোর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন ইমরান। গত ২১ জানুয়ারি ইমরান টোকিওর ওই স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে তার এক মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করেন। তবে এরিকোর সম্মতি না থাকায় স্কুল কর্তৃপক্ষ ইমরানের আবেদন নাকচ করে।

আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির জানান, পরবর্তী সময়ে স্কুলবাসে করে বাসায় ফেরার পথে বাসস্টপেজ থেকে ইমরান বড় দুই মেয়েকে (১১ ও ১০) অন্য একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে যান। গত ২৫ জানুয়ারি ইমরান তার আইনজীবীর মাধ্যমে এরিকোর কাছে সন্তানদের পাসপোর্ট হস্তান্তরের আবেদন করেন। কিন্তু এরিকো তা প্রত্যাখ্যান করেন। এরিকো ২৮ জানুয়ারি টোকিওর পারিবারিক আদালতে তার সন্তানদের জিম্মার জন্য আদেশ চেয়ে মামলা করেন। আদালত ৭, ১১ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি পারিবারিক সাক্ষাতের আদেশ দেন। তবে এই আদেশ ভঙ্গ করে ইমরান শুধু একবার মায়ের সঙ্গে বড় দুই মেয়ের সাক্ষাতের সুযোগ দেন।

অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির আরও জানান, গত ৯ ফেব্রুয়ারি মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে ইমরান মেয়েদের জন্য নতুন পাসপোর্টের আবেদন করেন। ১৭ ফেব্রুয়ারি নতুন পাসপোর্ট গ্রহণ করেন। গত ২১ ফেব্রুয়ারি দুই মেয়েকে নিয়ে দুবাই হয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন তিনি।

গত ৩১ মে টোকিওর পারিবারিক আদালত এরিকোর অনুকূলে বড় দুই মেয়ের জিম্মা হস্তান্তরের আদেশ দেন। এরপর করোনা পরিস্থিতির কারণে এরিকো এত দিন বাংলাদেশ আসতে পারেননি বলে জানান তার আইনজীবী। তিনি বলেন, ছোট মেয়েকে মায়ের কাছে রেখে ১৮ জুলাই শ্রীলঙ্কা হয়ে বাংলাদেশে আসেন এরিকো। 

সময় জার্নাল/এসএ


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল