জাজের মাসুদ রানার শুটিং চলছে। পরিচালনায় আছে সৈকত নাসির। শুটিং চলছে চট্টগ্রামের আনোয়ারাতে। বিশাল পাহাড়ের মাঝে অনেক বড় সেট বানানো হয়েছে। সেখানে বানানো হয়েছে বিশাল বাংলো বাড়ি। সেখানে এমন একটা কর্মকাণ্ড করা হচ্ছে, যা সফল হলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০ বছর পিছিয়ে যাবে। সেটা ধংস করতে ভিতরে ঢুকে মাসুদ রানা রুপি রাসেল রানা, আর বাহিরে সোহানা রুপি পূজা ও নবনিতা রুপি অমনি তাকে কাভার দেয়।
দৃশ্য হল, রানা যখন বাহিরে হয়ে আসবে, তখন সম্পূর্ণ বাড়িটি বিশাল বিস্ফোরণ হয়ে আগুনে জ্বলে যাবে। দৃশ্য রেডি। ক্যামেরা ডিরেক্টর রেডি। ডিরেক্টর রাসেল রানাকে বলল, এ্যাকশন বলার সাথে সাথে সে ভিতর থেকে দৌড় দিয়ে জাম্প দিবে। এ্যাকশন বলার ৫ সেকেন্ড পর বোম্ব ফাটবে।
রোলিং ক্যামেরা এ্যাকশন - বলা হলো। কিন্তু রাসেল রানা আর বের হচ্ছে না। এক সেকেন্ড যায়। দুই সেকেন্ড যায়। তিন সেকেন্ড যায়। পরিচালক ভয় পেয়ে যায়। আর ২ সেকেন্ড পর বোম্ব ফুটবে। সম্পূর্ণ বাড়িতে আগুন লেগে যাবে। অথচ রানা বের হচ্ছে না। এখন কারো কিছু করার নেই আর। কারণ ক্যামেরা অনেক দূরে। ইউনিটের সবাই অনেক দূরে। চার সেকেন্ড যাওয়ার পর দেখে যায় রানা দৌড় দিয়ে বের হচ্ছে। ৫ সেকেন্ডে বোম্ব ফুটে এবং একই সময় রাসেল রানা লাফ দেয়।
আগুনের ধাক্কায় তার চুল কিছুটা পুড়ে গেছে। পিঠের কাপড়ে আগুন লেগে যায়। মুখ সহ শরীরের অনেক জায়গায় কেটে যায়। প্রোডাকশন বয় দ্রুত এসে তার আগুন নিভায়। ডিরেক্টর দৌড়ে আসে। বোকা গাধা বলে রানাকে বকাবকি করতে লাগলো।
উত্তরে রানা যা বলল, তাতে প্রমাণ হয়ে গেল সে আসলেই গাধা। সে বলল, সে চাচ্ছিল যাতে দৃশ্যটা খুব সুন্দর ভাবে হয়। সে চাচ্ছিল তার লাফ ও বিস্ফোরণ এক সাথে হয়। এই জন্য সে ভিতরে অপেক্ষা করছিল।
ডিরেক্টর এইবার আরও খেপে গেল, বলল, আর ১ সেকেন্ড দেরি হলে তুমি মারা যেতে বা দুর্ঘটনা ঘটত । যদি তা হতো, তাহলে এই মাসুদ রানা বন্ধ হয়ে যেত। যা ইউনিটের কারো কাম্য নয়। রানা, ডিরেক্টরের কাছে মাফ চেয়ে এই যাত্রায় পার পেয়ে গেল।
তবে, যারা রাসেল রানাকে নিয়ে অনেক কথা বলেছেন, তাদের বলে রাখি, বাংলাদেশে আরেকটা সুপার স্টার এর জন্ম হচ্ছে। সব কিছুর জন্মেই ব্যাথা থাকে। রাসেল রানা হয়ত এখন সেই ব্যাথার সময় পার করছে।
সময় জার্নাল/ইএইচ