ডা. কামরুল হাসান সোহেল :
প্রথা ভেঙ্গে সরাসরি ৬ষ্ঠ গ্রেডে এনেসথেসিওলজিস্ট নিয়োগ দিচ্ছে সরকার। নিয়োগ নিয়ে তাড়াহুড়া আর ছল-চাতুরিই বলে দেয়- এখানে অনেক ঘাপলা আছে।
করোনা মোকাবিলায় ফ্রন্ট ফাইটার হবেন তারা, নিজের জীবন বাজি রেখে আইসিইউতে করোনা রোগীদের বাচাবে? খুবই প্রশংসনীয় উদ্যোগ, প্রশংসনীয় নিয়োগ।
কিন্তু যারা বিগত দশ,বারো,চৌদ্দ বছর ধরে সরকারি নির্দেশনা মেনে ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা সদর হাসপাতালে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। পদোন্নতি পাওয়ার সবকয়টি শর্ত সফলতার সাথে পূরণ করেছে। তাদেরকে পদ নেই- এই অজুহাতে, ডিপিসি হয়না -এই অজুহাতে কেন পদোন্নতি বঞ্চিত করা হলো?
যদি পদ না ই থাকে তাহলে এখন এতগুলো পদ কোথা থেকে আসলো?
একই ক্যাডারে কাউকে নিয়োগ পেতে প্রিলি, রিটেন, ভাইভা পাস করতে হবে। আবার কাউকে নামকাওয়াস্তে ভাইভা নিয়েই নিয়োগ দিয়ে দেয়া হবে!
(এডহক, সরাসরি ৬ষ্ঠ গ্রেডে নিয়োগ), কাউকে চাকরি স্থায়ী করতে ফাউন্ডেশন ট্রেনিং করতে হবে, ডিপার্টমেন্টাল পরীক্ষা পাস করতে হবে, সন্তোষজনক এসিআর লাগবে তিন বছরের। আর কারো চাকরি এমনি এমনিই স্থায়ী হয়ে যাবে! কাউকে পদোন্নতি পেতে হলে সিনিয়র স্কেল পাস করতে হবে, পাঁচ বছরের সন্তোষজনক এসিআর লাগবে, পদ শুন্য থাকা লাগবে, পোস্ট গ্রাজুয়েশন থাকা লাগবে। আর কারো কারো পাচ, ছয় বছর চাকরি হলেই পদোন্নতি পেয়ে যাবে (এডহক)। পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন থাকলেই সরাসরি ৬ষ্ঠ গ্রেডে পদায়ন পেয়ে যাবে!
আচ্ছা স্বাস্থ্য ক্যাডারে যত বিচিত্র রকমে নিয়োগ, পদোন্নতি হয় এমন বিচিত্র ক্যাডার আর একটাও আছে কি?