ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন :
করোনার হার্ড ইমিউনিটি বিতর্কের অবসান!
সুইডিশ মডেল নিয়ে সারা বিশ্বে বিতর্ক হয়েছে। বাংলাদেশেও এটি নিয়ে চরম ইমোশনাল আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা প্রেক্ষিতে করোনা প্রতিরোধ করা অনেক চ্যালেঞ্জিং। এ কথা বলার সাথে সাথে ঝাপিয়ে পড়ত অনেকে হার্ড ইমিউনিটিকে সাপোর্ট করছি বলে!
হার্ড ইমিউনিটি কি তা অনেকের কাছে স্পষ্ট নয়। সহজ কথায়- একটি দেশের প্রায় ৬৫-৭০% ভাগ মানুষ প্রাকৃতিক সংক্রমণ (সুইডেশ মডেল) বা টিকা মাধ্যমের এমন অবস্থা তৈরী করা যাতে করোনা সেই দেশ থেকে হারিয়ে যাবে। অর্থাৎ ভাইরাস আর কাউকে পাবে না সংক্রমণ করতে।
প্রাকৃতিকভাবে হার্ড ইমিউনিটি থিউরি ভুল প্রমাণিত হয়েছে। অন্যদিকে টিকার মাধ্যমে যারা হার্ড ইমিউনিটি অর্জনে বেশী সোচ্চার ছিলেন তাদের থিউরিও করোনার ক্ষেত্রে কাজ করল না!
ইসরাঈলের প্রায় বেশিরভাগ মানুষকে করোনা টিকা দেয়া হয়েছে। তেমনিভাবে ইংল্যান্ডে (প্রায় ৭০%)। কিন্তু সেখানেও করোনা সংক্রমিত হচ্ছে! টিকার মাধ্যমে হার্ড ইমিউনিটি আশা গুড়েবালি! ইসরাইলে প্রায় ১ মিলিয়নের বেশী মানুষ ৩ ডোজ ফাইজারের টিকা নিয়েছে যাদের কেউ কেউ আবার সংক্রমিত হচ্ছে! তাই হার্ড ইমিউনিটি থিউরি ফেইল মেরেছে।
করোনার নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট আসা-যাওয়ার কারণে এটি ইনফ্লুয়েঞ্জার মত পরিণতি বরণ করতে যাচ্ছে।
প্রাকৃতিক বা টিকার মাধ্যেম হার্ড ইমিউনিটি বিতর্কে সবাই পরাজিত। চলুন, সবাই বন্ধু হয়ে যাই, কোলাকুলি করি!
লেখক : মলিকিউলার বায়োলজিস্ট ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ।