------------------
------------------
মেঘনায় আমার হারিয়ে গেছে ছোট্টবেলার স্মৃতি,
নানা বাড়ির চেনা পথটার ঘটেছিল ইতি।
চেনা উঠোন মনে পড়ে, আবার ঝাপসা হয়ে যায়,
চোখের কোণে দূর সীমানা কী করে মেলাই!
মোল্লাপাড়ার সব ছেলেরা নিত আমায় খেলায়,
বল-ব্যাট হাঁকিয়ে যেত সকাল-বিকেল বেলা,
দুষ্টুমিতে জমতো আড্ডা, নানাবাড়িতে মেলা!
নানার হাতটা ধরেই আমি যেতাম হাজিগঞ্জে,
বাঁকা পথের রেখা ধরে চলতাম তাহার সঙ্গে।
আবদার জুড়ে দিলেই তিনি বস্তু কিনে দিতেন,
আদর করে আমায় তিনি চুমো খেয়ে কোলে নিতেন।
বৃষ্টিস্নাত এক অবেলায় খেলতে গেছি নলকূপে,
পিছলে আমার কপাল ফেটেছে,
তার দাগ আজও যায়নি যে!
অথচ আজ ভেঙে চুরে কোথায় গেছে সে জনপদ,
মাটি চাপায় নদীতীরে মারা গেছে যে,
তার কথাও মনে পড়ে আজ,
চোখের কোণে শত স্মৃতিকান্নার ভাঁজ।
ওইখানে ছিল নানার কবর, মৃত্যুর বছর পাঁচেক পর ভেঙেছিল নদীতে, দু'বছর পর
অক্ষত লাশ উঠিয়ে আবার দাফন হলো অন্যত্রে,
সেখানেও ভেঙেছে কবর,
পাড়া-পড়শীর মাঝে বেজেছে খবর।
এখনো ভাঙছে শত কবর,
নেই যে আমাদের কারো খবর,
জন্মভিটা হারাইয়ে গেলে,
কোটি টাকায় কী আর আরাম মেলে?
জন্মভূমি রক্ষায় আজ সবাই
সোচ্চার প্রতিবাদে,
সেনাবাহিনীই দুর্গ গড়বে
টেকসই বেড়িবাঁধে।
-জুনাইদ আল হাবিব, ৩০আগস্ট ২০২০, সমসেরাবাদ, লক্ষ্মীপুর।
সময় জার্নাল/