সময় জার্নাল রিপোর্ট: আগামী সেপ্টেম্বর থেকে স্থগিত পরীক্ষা শুরু করতে যাচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় এক আসন খালি রেখে কেন্দ্রে আসন বিন্যাস করা হবে। অর্থাৎ, ইংরেজি জেড পদ্ধতিতে আসন বিন্যাস করা হবে। তাছাড়া পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
সোমবার (৩০ আগস্ট) রাতে পরীক্ষা গ্রহণ সংক্রান্ত নির্দেশাবলী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ।
দেশের করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক গত মার্চ মাসে স্থগিত ঘোষণা করা হয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চলমান বিভিন্ন পরীক্ষা। তবে বর্তমানে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি, টিকাদান কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও সর্বোপরি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ বিবেচনা করে স্থগিত পরীক্ষাসমূহ অনুষ্ঠানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পরীক্ষা গ্রহণ সংক্রান্ত নির্দেশাবলীতে বলা হয়েছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা গ্রহণ এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। পরীক্ষা কেন্দ্রে দুই জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অন্তত ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রেখে (আসন বিন্যাসের নমুনা-১ অথবা আসন বিন্যাসের নমুনা-২ এর অনুরূপভাবে) আসন ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ভেন্যু কেন্দ্রে পরীক্ষা গ্রহণ করা যাবে।
আরও বলা হয়েছে, সকল শিক্ষক, পরীক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী মাস্ক পরিধান করে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করবে। মাস্ক সঠিক নিয়মে পরতে হবে এবং মাস্ক ছাড়া কেউ পরীক্ষা কেন্দ্র প্রবেশ করতে পারবে না। শুধুমাত্র পরীক্ষার্থীর পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য সাময়িক মাস্ক খোলা যাবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের পূর্বে হাত ধোয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সাবান এবং পানির ব্যবস্থা রাখতে হবে। প্রয়োজনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১৮ বছর ও তার বেশি বয়সী সকলকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হচ্ছে। যেসব শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা/কর্মচারী এখনও টিকা গ্রহণ করেননি তাদের টিকা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তাছাড়া স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃক জারিকৃত সকল স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে বলে নির্দেশনায় উল্লেখ রয়েছে।
সময় জার্নাল/আরইউ