নিজস্ব প্রতিবেদক।সময় জার্নাল : ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত আরো ২১ বীরাঙ্গনাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। এ বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে গত ২৪ আগস্ট গেজেট জারি করা হয়েছে।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৭৫তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বীরাঙ্গনারা এ স্বীকৃতি পেলেন। এ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাওয়া বীরাঙ্গনার সংখ্যা ৪৩৭ জনে দাঁড়ালো।
নাটোরের হাফিজা বেগম, মোছা. কমেলা, নাছিমা বেগম, মোছা. আকলিমা বেগম, সাহেরা, মোছা. শরীফা ইসলাম, মোছা. ফিরোজা বেগম. মোছা. আয়েশা বেগম, মোছা. ফাতেমা, মোছা. জোসনা বেগম, মোসা. আছমা বেগম, মোছা. রেজিয়া বেগম ও মোছা. আমবিয়া বেগম মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেয়েছেন।
এছাড়া মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেয়েছেন- বরিশালের রোকেয়া বেগম ও বিভা রানী মজুমদার, খুলনার সন্ধ্যা রানী বিশ্বাস ও অঞ্জনা বালা বিশ্বাস, পাবনার মোছা. আনোয়ারা বেগম ও মোছা. বিলকিস বানু, কুমিল্লার মোসা. তাহেরা বেগম এবং নওগাঁর বদরুন নেছা।
১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সময় নির্যাতিত নারীদের 'বীরাঙ্গনা' উপাধি দেন।
তার অধীনে এসব নারীদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের কাজ শুরু হয়। তবে, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর এ কাজ থেমে যায়।
পরবর্তী সময়ে, ২০১৪ সালের ২৭ জানুয়ারি হাইকোর্টের একটি আদেশের পর বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ১০ অক্টোবর বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল। পরের বছরের ২৯ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে ওই প্রস্তাব পাস হয়।
সময় জার্নাল/আরইউ