এহসান রানা , ফরিদপুর : ফরিদপুরের শত বছরের জেনারেল হাসপাতালটি রহস্যজনক কারনে নিজেই রোগাক্রান্ত । সাবেক ১৯ টি জেলার মধ্যে অন্যতম একটি জেলা ফরিদপুর । ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালটি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত হাসপাতাল বলে পরিচিত , এই জেনারেল হাসপাতালটিতে বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক গ্রেপ্তার হয়ে ফরিদপুর কারাগার থেকে চিকিৎসা সেবা নিতেন বলে জানান প্রবীণ রাজনৈতিক নেতারা ।
ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে এক্সরে মেশিনটি দীর্ঘ ৬ মাস ধরে নষ্ট হয়ে রয়েছে কিন্তু কোন মেরামতের উদ্যোগ নেই , একই অবস্থায় রয়েছে আলট্রাসনোগ্রাম মেশিনটি । আলট্রাসনোগ্রাম মেশিনটি ভালো থাকলেও নেই কোন কার্যক্রম ও নেই কোন ডাক্তার ।
ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালটিতে ৩৭ জন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও রহস্যজনক কারনে কর্মরত আছে আবাসিক চিকিৎসক সহ ৭ জন । প্রাচীন এই হাসপাতালটিতে প্রতিদিন ১০০০/১২০০ বিভিন্ন ধরনের রোগীরা চিকিৎসা সেবা নেবার জন্য ছুটে আসে কিন্তু চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না ডাক্তারদের অভাবে , বাধ্য হয়ে রোগীরা হাসপাতাল এলাকায় একাধিক প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে যেতে হয় ।
বিশ্বস্ত সুত্রে জানা যায় জেনারেল হাসপাতালের আশে পাশে প্রায় ১৫/২০ টি বেসরকারী প্রাইভেট হাসপাতাল রয়েছে এদের সাথে ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কতিপয় কিছু ডাক্তারদের যোগসাযোকের কারনে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালটিকে পুঙ্গ করে রেখেছে ।
দীর্ঘ ১০/১২ বছর ধরে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে কোন ডাক্তার বদলী হয়ে আসলেও পরবর্তীতে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চলে যায় ।
ফরিদপুর এক্সরে মেশিন বিকল ও ডাক্তার শুন্যতা বিষয়ে ফরিদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রধান সহকারী জালাল আহমেদ জানান , এক্সরে মেশিন মেরামত করার জন্য ও ডাক্তার শুন্যতা বিষয়ে সাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি মহাদয় এবং পরিচালক ( হাসপাতাল ও ক্লিনিক ) কে অবগত করা হয়েছে ।
এই বিষয়ে ঢাকা বিভাগ হাসপাতাল ও ক্লিনিক পরিচালক ফরিদ আহমেদ জানান , ফরিদপুরের সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে সদর হাসপাতালের এক্সরে মেশিনটি বিকল হয়ে আছে দীর্ঘ দিন ধরে তা আমাকে অবগত করা হয় নাই এবং আমার নিকট নতুন এক্সরে মেশিনের জন্য কোন ডিমান্ড ( আবেদন ) করে নাই , আবেদন / আমাকের অবগত করলেই প্রয়োজনে নতুন এক্সরে মেশিনের ব্যবস্থা করা হবে ।
সময় জার্নাল/এমআই