এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে পদ্মার ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে বসতভিটে, স্কুল ও কমিউনিটি ক্লিনিকি। গত কয়েক দিন ধরে পদ্মার ভাঙনে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বালিয়া ডাঙ্গী গ্রামে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি কমিউনিটি ক্লিনিক সহ চরহরিরামপুর ইউনিয়নের ছবুল্যা শিকদারের ডাঙ্গী গ্রামে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙনের মুখে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন ধরে পদ্মায় ভাঙন শুরু হয়। এতে ৭টি বসতভিটে, কাঁচা রাস্তা পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে।
এদিকে, প্রতিষ্ঠানগুলো হতে পদ্মার দূরত্ব খুবই নিকটবর্তি হওয়ায় যেকোন সময় উক্ত প্রতিষ্ঠানসহ আশেপাশের বেশ কিছু বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলায় তিনটি সরকারি প্রতিষ্ঠান বিলীনের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে। পদ্মার ভাঙন থেকে প্রতিষ্ঠানগুলোকে এখনোই রক্ষা করার কোনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন না করা হলে যেকোন সময় প্রতিষ্ঠানগুলো চিরতরে পদ্মার গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
বালিয়াডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক স্কুলের প্রথান শিক্ষক মো লুৎফর রহমান জানান, ১৯৮৮ সালে স্কুলটি নির্মাণ করা হয়। এরপর স্কুলটি পদ্মায় ভেঙে যায়। এরপর ২০০৬ সালে উক্ত স্কুলটি এখানে সরিয়ে এনে নির্মাণ করা হয়। স্কুলটির বর্তমান স্থানটিও ভাঙনের মুখে পড়েছে বলে তিনি জানান।
সরেজমিনে, সোমবার বিকালে ভাঙনকবলিত ফাজেলখার ডাঙ্গী গ্রামে দেখা যায়, এসময় অনেকেই অসহায় ও নিরবে, নির্ভৃতে দাড়িঁয়ে দাড়িঁয়ে চোঁখের সামনে তাদের বসবাসের শেষ সহায় সম্বল, একমাত্র মাথা গোজার ঠাই বসতবাড়ি পদ্মার গর্ভে বিলীন হতে দেখে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহামুদ জানান, চরভদ্রাসন উপজেলায় বালিয়া ডাঙ্গী, ফাজেলখার ডাঙ্গী, ছবুল্যা শিকদারের ডাঙ্গী গ্রামের পদ্মা ভাঙনের খবর পেয়েছি। বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙন রোধে কাজ চলছে। বালিয়াডাঙ্গী, ফাজেলখারডাঙ্গী ও সবুল্লাহ শিকদারের ডাঙ্গী গ্রামের ভাঙন রোধে অস্থায়ীভাবে ডাম্পিংয়ের জন্য প্রায় ১৬ হাজার জিও ব্যাগ বরাদ্দ হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ইতোমধ্যে ফাজেলখার ডাঙ্গীতে পাঁচ হাজার জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়েছে। বালিয়াডাঙ্গীতেও খুব শীঘ্রই ভাঙন ঠেকাতে বালুর বস্তা ফেলা হবে। এখানে পাঁচ হাজার বালুর বস্তা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করে ছবুল্যা শিকদারের ডাঙ্গী গ্রামেও ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
সময় জার্নাল/এমআই