বুধবার, সেপ্টেম্বর ১, ২০২১
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে নতুন শনাক্ত প্রায় ২ লাখ, বিশ্বে আরও ১০ হাজার মৃত্যু
চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেড়েছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০ হাজারের বেশি মানুষ। একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৯ হাজার।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। তবে দৈনিক মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মেক্সিকো। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২১ কোটি ৯২ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪৫ লাখ ৪৩ হাজার।
বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০ হাজার ৩৭৭ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু বেড়েছে প্রায় দেড় হাজার। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪৫ লাখ ৪৩ হাজার ৬৪৩ জনে।
এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৭৯ হাজার ১২৫ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৭২ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ কোটি ৯২ লাখ ২৮ হাজার ১৭২ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৮৪ হাজার ৩৯৯ জন এবং মারা গেছেন ১ হাজার ৪৮০ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯১ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৬ লাখ ৫৯ হাজার ৯২৭ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে বিশ্বে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মেক্সিকো। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ৮৩৫ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১১ হাজার ১৪৬ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩৩ লাখ ৫২ হাজার ৪১০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৩২৬ জনের।
রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ৭৯০ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৮ হাজার ৩৬৮ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৬৯ লাখ ৩৭ হাজার ৩৩৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৮৪ হাজার ১৪ জনের।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ইরানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৯৯ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ হাজার ১৭০ জন। করোনাভাইরাস মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৫০ লাখ ২৫ হাজার ২৩৩ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ১ লাখ ৮ হাজার ৩৯৩ জন মারা গেছেন।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৫৩ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৩৩৭ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪১ লাখ ১৩৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৬৭৩ জনের।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭০৩ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ৩৪৮ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৮ লাখ ৪ হাজার ২১৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৮১ হাজার ২২৮ জনের।
এদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫০৫ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫ হাজার ৯৭১ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ২৮ লাখ ৫৬ হাজার ৮৬৩ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৫৫৯ জন।
এছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৬৭ লাখ ৮৩ হাজার ৩২৯ জন, যুক্তরাজ্যে ৬৮ লাখ ২৫ হাজার ৭৪ জন, ইতালিতে ৪৫ লাখ ৪৬ হাজার ৪৮৭ জন, তুরস্কে ৬৪ লাখ ১২ হাজার ২৭৭ জন, স্পেনে ৪৮ লাখ ৬১ হাজার ৮৮৩ জন এবং জার্মানিতে ৩৯ লাখ ৭০ হাজার ৩৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ১৪ হাজার ৫৭৭ জন, যুক্তরাজ্যে এক লাখ ৩২ হাজার ৭৪২ জন, ইতালিতে এক লাখ ২৯ হাজার ২৯০ জন, তুরস্কে ৫৭ হাজার, স্পেনে ৮৪ হাজার ৪৭২ জন এবং জার্মানিতে ৯২ হাজার ৭৫৭ জন মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
সময় জার্নাল/আরইউ