ডা. সাঈদ এনাম :
কনভারসন ডিসওর্ডার একটা রহস্যময় রোগ। অল্প বয়সী কিশোরীদের মধ্যে এ রোগ বেশী দেখা যায়।
লক্ষণঃ
অজ্ঞানের মতো হয়ে যাওয়া, দ্রুত ও লম্বা লম্বা শ্বাস নেয়া, হাত পা অবশ এর মতো হওয়া, হঠাৎ করে কথা বলতে না পারা, বিছানায় এ পাশ ওপাশ করা, ভুলে যাওয়া, চিৎকার করা, শরীরের কোন অংশের অস্বাভাবিক নাড়া চাড়া কিংবা, অস্বাভাবিক নিস্তব্ধতা ইত্যাদি এর লক্ষন।
প্রাথমিক ভাবে অনেকের কাছে মনে হয় এটি মৃগী রোগ বা খিচুনি রোগ। অনেকে আবার মনে করেন 'যাদু-টোনা-বান-তাবীজ-ভুত-প্রেতের আসর ইত্যাদি । আসলে এসব কিছুই নয়।
মুলত মানসিক কস্ট বা যন্ত্রণা থেকেই এ রোগের উৎপত্তি। বলাযায় মানসিক রোগের শারীরিক বহিঃপ্রকাশ।
রোগীর সাথে একান্ত আলোচনা, তার মনোকষ্ট বা সমস্যার মুল উৎস গুলো চিহ্নিত করা, তাকে তার সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা করা, সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়াই কার্যকরী চিকিৎসা।
দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য আমাদের দেশে গ্রামে গঞ্জে এ রোগে আক্রান্ত কিশোরীরা ভন্ড কবিরাজ, ল্যাংটা পীর, ভন্ডপীর'দের এসবের দ্বারা অনেক অপচিকিৎসার শিকার হন। তাদের সমস্যা হতে থাকে আরো জটিল ।
[★Short duration of symptoms before start of treatment, early diagnosis, and high satisfaction with care predicted a positive outcome.
★Delayed diagnosis and comorbid personality disorder predicted a negative outcome.
★Childhood trauma occurs in 70.3% of patients with CD/FND.
★Depression (38%–50%), anxiety disorders (35%), dissociative disorders (48.3%), and pain (50%) were the most commonly reported comorbidities.
★Childhood sexual abuse is significantly associated with poor treatment outcome in CD/FND
লেখক : সহকারী অধ্যাপক, মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগ, এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ, সিলেট।