নিজস্ব প্রতিবেদক।সময় জার্নাল : মিরপুরের উইকেট নিয়ে অভিযোগ নতুন নয়। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১০ ইনিংস মিলিয়ে সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল ১৩১ রান। এবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ দল। সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাত্র ৬০ রানেই গুঁটিয়ে যায় কিউইরা। এরপর উইকেটের চরিত্র নিয়ে আলোচনার ডালপালা মেলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৬০ রানে অলআউট হওয়ার দিন টস জিতে আগে ব্যাটিং নিয়েছিল সফরকারীরা। এরপরেও আজ (শুক্রবার) সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে সাহসী পদক্ষেপ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। টস ভাগ্য কথা বলতেই আগে ব্যাট করার বার্তা দিলেন তিনি। উইকেট বিবেচনায় অধিনায়কের মান রেখেছেন নাঈম শেখ, লিটন দাসরা। মাহমদুউল্লাহ নিজেও পেয়েছেন রানের দেখা। এতে ২০ ওভার শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ১৪১ রান।
শের-ই-বাংলার মন্থর উইকেটে ম্যাচের শুরুটা একেবারেই ভালো আভাস দেয়নি। এই পিচে টাইগার ব্যাটসম্যানরা লড়াই চালিয়ে স্কোরবোর্ডে যে ১৪১ রান জমা করেছেন, সেটিকে টপকে জয় তুলে নেওয়ার কাজটি মোটেও সহজ হবে না টম লাথামের দলের। স্বাগতিকদের স্পিনারদের বিপক্ষে রান বের করে এই ম্যাচ জিততে বিশাল চ্যালেঞ্জ পাড়ি দিতে হবে সফরকারীদের।
এদিন শুরু থেকেই উইকেটে বাড়তি টার্ন আর বাউন্স পেয়েছেন সফরকারী স্পিনাররা, তবে পেসাররা ছিলেন বেশ উদার। দু-হাত রান বিলিয়েছেন ডগ ব্রেসওয়েল, বেন সিয়ার্স, হামিশ ব্যানেটরা। অভিষিক্ত বেন সিয়ার্সের প্রথম ওভারেই ১১ রান তুলে নেন টাইগার ব্যাটসম্যানরা, পরে তো আর বল হাতে নেওয়ার সুযোগই পাননি তিনি। স্পিনারদের বিপক্ষে ধুঁকতে হলেও পেসারদের বিপক্ষে সাবলীল ছিলেন নাঈম, মাহমুদউল্লাহরা।
এ ম্যাচের আগে এই ফরম্যাটে বাংলাদেশ দল নিজেদের ওপেনিং পার্টনারশিপে পঞ্চাশ রান পার করতে পেরেছিল জিম্বাবুয়ে সফরের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে। এরপর মাঝে চলে গেছে ৮ ম্যাচ। এমনকি পাওয়ার প্লের ৬ ওভারও শেষ করে আসতে পারেনি কোনও ওপেনিং জুটি। অবশেষে সে আক্ষেপ দূর হয়েছে। কিউইদের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে লিটন দাস আর নাঈম শেখের জুটি থেকে আসে ৫৯ রান।
তবে শুরুর গল্পটা ভালো ছিল না মোটেও। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই লিটন ফিরতে পারতেন খালি হাতে। দলীয় ৪ রানের মাথায় সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। সে সুযোগ হাতছাড়া করেননি লিটন, খেলেন ২৯ বলে ৩৩ রানের ইনিংস। এই পিচে স্ট্রাইক রেট ১০০ এর উপরে রাখায় লিটন বাহবা পেতেই পারেন। ইনিংসের ১০ম ওভারে লিটন যখন সাজঘরে ফেরেন, তখন দলীয় সংগ্রহ ৫৯ রান।
লিটনকে আউট করার পরের বলেই মুশফিকুর রহিমের উইকেট তুলে নেন স্পিনার রাচিন রবীন্দ্র। এদিন রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন মিস্টার ডিপেন্ডবল। সাকিব আল হাসান ব্যাট হাতে নেমে আক্রমাণত শুরু করেন, তবে ইনিংসটি বড় করতে পারেননি তিনি। কোল ম্যাককঞ্চির বলে সাজঘরে ফেরেন ৭ বলে ১২ রান করে। ৭২ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন নাঈম-মাহমুদউল্লাহ। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৩৪ রান জমা করেন দুজন।
নাঈম ব্যক্তিগত ফিফটির দিকে ছুটছিলেন বটে, তবে ৩৯ রানে তাকে নিজের তৃতীয় শিকার বানিয়ে থামান রাচিন। পরে আফিফও আউট হন ৩ রান করে। একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলে রানের চাকা সচল রাখেন মাহমুদউল্লাহ। ৩২ বলে অপরাজিত ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন টাইগার অধিনায়ক। সঙ্গে নুরুল হাসান সোহানের ৯ বলে ১৩ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ১৪১ রানের সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ দল।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে স্পিনার রাচিন রবীন্দ্র ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন।
সময় জার্নাল।সময় জার্নাল