আন্তর্জাতিক ডেস্ক।সময় জার্নাল : চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮ হাজারের বেশি মানুষ। একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫ লাখের গণ্ডি।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। তবে দৈনিক মৃত্যুতে সবার ওপরে রয়েছে রাশিয়া। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২২ কোটি ২৭ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪৫ লাখ ৯৮ হাজার।
বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮ হাজার ৩৩৪ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে ১ হাজার ৭০২ জন। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪৫ লাখ ৯৮ হাজার ৩৩৭ জনে।
এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ১১ হাজার ৮৩৪ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে এক লাখ ১০ হাজারের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ কোটি ২৭ লাখ ১০ হাজার ১৯৭ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৫ হাজার ৪৭০ জন এবং মারা গেছেন ৭৮৮ জন। দৈনিক মৃত্যুতে দেশটি রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ১২ লাখ ৪ হাজার ৫২১ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৬ লাখ ৬৮ হাজার ৯৯৫ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে বিশ্বে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ৭৯৫ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৭ হাজার ৪২৫ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭০ লাখ ৪৭ হাজার ৮৮০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭৮৫ জনের।
দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৮৩ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ২০১ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪১ লাখ ৪০ হাজার ৬৩৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৫৬ জনের।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৪২ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৬৪৫ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৯ লাখ ১৩ হাজার ৫৭৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৮৪ হাজার ২০৮ জনের।
এদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৬৮ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ১৩০ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ৩০ লাখ ৯৫ হাজার ৪৫০ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৪১ হাজার ৪৪৩ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ইরানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৩৫ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ হাজার ১৩৮ জন। করোনাভাইরাস মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৫১ লাখ ৮৪ হাজার ১২৪ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ১ লাখ ১১ হাজার ৮৯২ জন মারা গেছেন।
করোনায় প্রাণহানির তালিকায় ওপরের দিকেই রয়েছে মেক্সিকোর নাম। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ৩৩০ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৫ হাজার ১২৭ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩৪ লাখ ৩৩ হাজার ৫১১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজার ৪৭০ জনের।
এছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৬৮ লাখ ৫৪ হাজার ২৮ জন, যুক্তরাজ্যে ৭০ লাখ ৫৬ হাজার ১০৬ জন, ইতালিতে ৪৫ লাখ ৭৯ হাজার ৫০২ জন, তুরস্কে ৬৫ লাখ ৪২ হাজার ৬৫৪ জন, স্পেনে ৪৮ লাখ ৯২ হাজার ৬৪০ জন এবং জার্মানিতে ৪০ লাখ ২৯ হাজার ৮৪৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ১৫ হাজার ১৫৯ জন, যুক্তরাজ্যে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৪৮৩ জন, ইতালিতে এক লাখ ২৯ হাজার ৬৩৮ জন, তুরস্কে ৫৮ হাজার ৬৫১ জন, স্পেনে ৮৫ হাজার ৬৬ জন এবং জার্মানিতে ৯২ হাজার ৯৪৯ জন মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
সময় জার্নাল/আরইউ