অধ্যাপক ডা. এম রাশিদা বেগম :
২৬ মার্চ ২০২১ ঢাকার আকাশ ছিল নীল। আমার কথা নয়, বিজ্ঞানীদের কথা। কারন সেদিন ছিল ছুটির দিন। সেদিন ঢাকা বিশ্বের দূষিত শহরের মধ্যে ১২তম স্থানে ছিল। পরেরদিনই সেটি লাফিয়ে ২য় স্থানে উঠে গেল যখন বেইজিং ছিল প্রথম।
যখন বাইরের বাতাস দূষিত থাকে তখন ঘরের বাতাসও দূষিত থাকে। যে বাতাস অক্সিজেন সাপ্লাই দিয়ে আমাদের বাঁচিয়ে রাখে, সে বাতাসই তার নানান টক্সিক জিনিশ দিয়ে বিভিন্ন রোগ বালাই তৈরী করে জীবনের দৈর্ঘ্য ২.২ বছর কমিয়ে দেয়। যেখানে বেশী দূষন সেখানে কমায় ৫ বছর আর বাংলাদেশে সবচেয়ে দূষিত জায়গায় কমায় ৬.৫ বছর। (AQLI report, Chicago).
"দূষনের বিরুদ্বে যুদ্ব"
২০১৩ সালে চায়নার এই যুদ্ব ২৯% দূষন কমিয়ে গড়পড়তা জীবনের দৈর্ঘ্য ১.৫ বছর বাড়িয়েছে। চায়নার এই যুদ্ব প্রমান করে যে উন্নতি সম্ভব। তবে ছয় বছরে চায়না যা করতে পেরেছে, ইউরোপ আমেরিকার কয়েক দশক লাগবে তা করতে (AQLI). তারা জন্ম নিয়ন্ত্রন করে দেখিয়েছে, তারা কোভিড নিয়ন্ত্রন করে দেখিয়েছে। হয়ত অচিরেই বেইজিংকে প্রথম স্থান থেকে সরিয়ে নিবে।
আসল কথায় আসি। দূষন শুধু বাতাসে নয়। দূষন পানিতে, খাবারে, খাবার তৈরী করার পাত্র থেকে শুরু করে খাবার রাখার পাত্রসমূহে। দূষন প্রসাধনে, দূষন অতি সভ্যতায়।
গত ৭০ বছর ধরে পুরুষের শুক্রানুর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এটি বহুভাবে প্রমানিত হলেও মহিলাদের ডিম্বানু কমে যাবার বিষয়টি বহুল আলোচিত হয়নি। পুরুষের গ্যামিট কমে গেলেও শেষ হয়ে যায় না কারন অগনিত স্পার্মাটোগোনিয়াল স্টেম সেল রিপ্লেস করতে পারে। কিন্তু মহিলাদের স্টেম সেল বিহীন নির্ধারিত ডিম্বানু কমতে কমতে শেষই হয়ে যায়।
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকেই দূষন নিয়ে সন্দেহ, ঘাটাঘাটি এবং রিলেট করা যে ৩০ বছরের নীচের মেয়েদেরও ডিম্বানু এত কম কেন? দশ বছর আগের চিত্রের সাথে আজকের চিত্রের মিল নেই।
দূষন কিভাবে ফার্টিলিটি কমায় এ বিষয়ে বিশদ লেখা দৈনিকে দিচ্ছি।
লেখক : গাইনী ও বন্ধ্যাত্ব বিশেষজ্ঞ।