মোঃ আশ্রাফুল আলম ভূঁইয়া :
প্রায় ৫৪৪ দিন পর আবার শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হল সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। স্বাস্থ্যবিধি মেনে গত (১২ সেপ্টেম্বর) খুলেছে দেশের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা। প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের এসব প্রতিষ্ঠানে প্রায় সোয়া তিন কোটি ছাত্রছাত্রী আছে।
সরাসরি পাঠদানের লক্ষ্যে বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে বন্যা কবলিত এলাকা এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক প্রতিষ্ঠান এখনও পুরোপুরি প্রস্তুত হয়নি।
আলহামদুলিল্লাহ, এটি শিক্ষার্থী,অভিভাবক এমনকি দেশবাসীর জন্যে অত্যন্ত আনন্দের বিষয়।
দেশের আকাশে পূর্ব দিগন্তে নতুন সূর্যের আভাস,
শিক্ষার্থীদের কলরবে মুখরিত হল প্রাণের ক্যাম্পাস।
কিন্তু এরপরেও দুটি কথা না বললেই নয়, অনলাইন ক্লাসের অযুহাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের দিনগুলোতে অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে স্মার্টফোন।
যেই স্মার্টফোন আসক্তি থেকে দূরে রাখতে অভিভাবকরা একসময় বাচ্চাদের শাসন করতেন তারাই সন্তানদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দিতে বাধ্য হয়েছে। যদিও এটি শিক্ষাক্ষেত্রে খুব বেশি ফলপ্রসূ কোন উপকার নিয়ে এসেছে বলে মনে করেনা শিক্ষাবিদ এবং বিশ্লেষকরা।
উল্টো ফ্রি-ফায়ার,পাবজি সহ শিক্ষার্থীদের একটা বিশাল অংশ বিভিন্ন জুয়াড়ি গেমসসহ আজেবাজে সাইটের প্রতি আসক্ত হয়েছে বলে বিভিন্ন গণ্য মাধ্যম মারফতে জানা গেছে। এখন শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরেছে কিন্তু তারা কি তাদের স্মার্টফোন আসক্তি বা ওসব নিষিদ্ধ সাইটের নেশা থেকে ফিরতে পারবে??
সচেতন অভিভাবক মহলে এই বিষয়টি সবাইকে ভাবিয়ে তোলে। তাই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে আর স্মার্টফোন নয়। প্রয়োজনের বাইরে অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন থেকে দূরে রাখার উদ্যোগ নিতে হবে
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এবং অভিভাবকদেরকে। শিক্ষার্থীরা আবারো বইমুখী হোক,অভ্যস্ত হোক প্রকৃত মেধা চর্চায়। নিজেদের কাঙ্খিত স্বপ্ন পূরণে তারা আবারো পড়াশোনায় প্রতিযোগিতা করুক বন্ধুবান্ধবদের সাথে। অটোপাশের উপহাস থেকে মুক্ত হয়ে একটা মেধাবী জাতি গঠিত হোক। প্রকৃত জ্ঞানার্জন করে সবাই ছড়িয়ে পড়ুক সোনার বাংলাদেশ গঠনে। এটাই সচেতন অভিভাবক মহলের প্রত্যাশা।
লেখকঃ মোঃ আশ্রাফুল আলম ভূঁইয়া
উপদেষ্টা, 'বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম'(বৃহত্তর চট্টগ্রাম শাখা)