মাহবুবুল হক খান, দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের পৃথক দু’টি অভিযানে জঙ্গি সন্দেহে মসজিদ থেকে ৪৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত দিনাজপুর সদর ও বিরল উপজেলায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট জেলা পুলিশের সহযোগিতায় এ অভিযান পরিচালনা করে।
এ সময় মহারাজা মোড়ের পূর্ব দিকে অবস্থিত বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদ থেকে ১২ জনকে ও বিরল উপজেলার বিরল বাজার জামে মসজিদ থেকে ১৭ জনকে আটক করা হয়। এছাড়া আরো দু’টি মসজিদ থেকে ১৫ জনসহ মোট ৪৪ জনকে আটক করা হয়। তবে এখনো আটককারীদের কারো নাম জানা যায়নি।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, দু’দিন আগে এই দু’টি মসজিদে ঢাকা থেকে তাবলীগ জামাত এসেছিল। অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) কাছে তথ্য ছিল, তারা জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনা করতে তাবলীগ জামাতের নামে সদরের বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদ ও বিরল উপজেলার বিরল বাজার জামে মসজিদে অবস্থান করছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট জেলা পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করে। আটকের পর রাতেই তাদের দিনাজপুর পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়েছে এবং তাদের কাছে থাকা বিছানাপত্রসহ সব মালামাল জব্দ করেছে পুলিশ।
বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদের খাদেম মোঃ আব্দুর রাজ্জাক জানান, বৃহস্পতিবার ২২ জন মানুষ ঢাকা থেকে আসেন। তাদের মধ্যে ১২ জন এখানে
অবস্থান করে বাকিরা অন্য মসজিদে থাকার কথা বলে চলে যান। রাতে এশার নামাজের পরে আমরা বাসায় চলে গেলে তারা এই মসজিদেই অবস্থান করছিল।
পরে রাতে শুনতে পারি তাদেরকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে।
বিরল বাজার জামে মসজিদের মোয়াজ্জিন মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঢাকা থেকে আসা তাবলীগ জামায়াতের ১৭ জনকে আটক করে নিয়ে গেছে। এ সময় পুলিশ জানায়, তাদের কাছে তাবলীগ জামায়াতের নামে জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনার তথ্য ছিল। এ জন্য তাদের আটক করা হয়েছে।
দিনাজপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন সরকার জানান, ঢাকা থেকে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা কয়েকটি মসজিদে অভিযান চালিয়েছেন। তারা আমাদের সহযোগিতা চেয়েছিল, এই হিসেবে তাদের সহায়তার জন্য দিনাজপুর থেকে পুলিশ সদস্যদের দেওয়া হয়েছিল।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, তাবলীগ জামাতের একটি দল দিনাজপুর সদর ও বিরল উপজেলায় বিভক্ত হয়ে নাশকতার পরিকল্পনা করছে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে রাতে দিনাজপুরে আসে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা। পরে তারা স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে।
সময় জার্নাল/এমআই