ঘাস ফড়িংয়ের বিয়ে দিবো,
তাই জো-কে নিমন্ত্রণ করলাম,
জো বলল, বিয়ে তসনস করার জন্য কেউ আছে কিনা সেটা জানতে হবে,
যাওয়ার পর যদি স্ত্রী ফড়িংটাকে কেউ ভাগিয়ে নেয়! আমি সায় দিলাম, জো নিরাপত্তা চেক এবং অন্যান্য খোঁজ নেওয়ার জন্য ডগ স্কোয়াড, বক স্কোয়াড এবং ব্যাঙ স্কোয়াড পাঠিয়ে দিলো, এতে ডো ভারী ভেজার হলো,
এবং জনসভা করে জো-কে আটকানোর চেষ্টা করলো। আমি ডো-কে প্রস্তাব দিলাম আসার জন্য, সেই সময় শিয়ালের বিয়েতে যাবেন বলে আর আসতে পারলেন না। তবে আমি কথা দিয়েছি, ওদের বাচ্চা হলে ডো-র নামে রাখা হবে,
এতে ডো খুশি হয়ে বিয়ের যাবতীয় খরচাপাতি পাঠিয়ে দিলো কুশকে দিয়ে।
যথারীতি মেহেদী অনুষ্ঠান আমরা বিশাল ধুমধামে করলাম।
বিয়েতে তেপ্পান্ন হাজার কইকে, তেত্রিশ হাজার টাকি, এবং সাত হাজার বিড়াল দাওয়াত করা হলো,
আর বিয়ে পড়ানোর জন্য মোরগ মশাইকে নিয়ে আসা হলো।
জো যথা সময়ে উপস্থিত হন,
এরপর বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেই গন্ডগোল শুরু হয়,
৮২ টা ঘাস ফড়িং (স্ত্রী) এসে অনশনে বসলো এই বলে যে, ওদেরকেও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে....!
জো সবাইকে নিয়ে সংসার শুরু করার ইঙ্গিত দিলে, তা বাস্তবায়ন করা হয়।
ডো-র নামানুসারে প্রথম বাচ্চাগুলোর নাম, এন্ড জো না বললেও তার নামানুসারে পরের গুলার নাম রাখা হয়।
৬ মাস পর বিশাল বাহিনী নিয়ে তারা পৃথিবীর বুকে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো শুরু করে, এবং পৃথিবীর বুকে মানুষের খাওয়ার যোগ্য সব শস্যাদিতে আক্রমণ দুর্বার গতিতে বৃদ্ধি করে,
মানুষের বাসের জায়গায় ত্রাশ সৃষ্টি করে, যা চলমান.....
তাদের মতে পৃথিবীর একমাত্র মালিক তারাই,
ধ্বংস করা হবে সামনে আসবে যারাই।
লেখক: মিজানুর রহমান সিনহা
শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
সময় জার্নাল/আরইউ