নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রাথমিকে শিক্ষকসহ অন্যান্য পদের সংখ্যা বাড়ছে। সেই সঙ্গে শিক্ষক ও সহায়ক জনবলের শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
রোববার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন শূন্য পদের বিপরীতে এবং ছাত্র সংখ্যার অনুপাতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষকসহ অন্যান্য সহায়ক জনবলের পদ সৃষ্টি ও নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। শিগগিরই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।
এদিকে, বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, সংসদীয় কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতি ১৫টি বিদ্যালয়ের জন্য একজন করে সহকারী শিক্ষা অফিসারের পদ সৃষ্টি এবং বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে প্রধান শিক্ষকদের সহকারী শিক্ষা অফিসার হিসেবে পদোন্নতির জন্য নিয়োগবিধি সংশোধন কার্যক্রম চলমান।
ঢাকা মহানগর ও পূর্বাচলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ দৃষ্টিনন্দনকরণ প্রকল্পের আওতায় ২০২০-২১ অর্থবছরে যেসব বিদ্যালয়ে অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে কোনো আইনি জটিলতা নেই, সেসব বিদ্যালয় নির্বাচিত করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টেন্ডার প্রক্রিয়া দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য বৈঠকে কমিটি সুপারিশ করেছে।
জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যে শিক্ষকরা অদ্যাবধি বেতন পাননি, যথাশিগগির সম্ভব তাদের বেতনপ্রাপ্তি নিশ্চিতকরণের জন্য তাগিদ দেওয়া হয়। এছাড়াও, সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার পদে (এডিপিও) পদে কর্মরতদের মধ্যে যোগ্যদের দ্রুত পদোন্নতির জন্য বৈঠকে কমিটি সুপারিশ করে।
ইতোপূর্বে কমিটির সুপারিশকৃত স্কুল ফিডিং প্রকল্পে পুনর্গঠিত ডিপিপিতে শিক্ষার্থীদের মায়েদের সম্পৃক্ত করে এবং মানসম্মত খাবার নিশ্চিতকল্পে উপবৃত্তির অর্থের সঙ্গে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ অতিরিক্ত বরাদ্দের বিষয়ে কমিটির পরবর্তী বৈঠকে অবহিত করার জন্য বলা হয়।
কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন কমিটির সদস্য মেহের আফরোজ, আলী আজম ও মো. মোশারফ হোসেন।
সময় জার্নাল/এমআই