বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

বিশ্বের সব স্থানে টিকা নিশ্চিতের দাবি প্রধানমন্ত্রীর

সোমবার, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১
বিশ্বের সব স্থানে টিকা নিশ্চিতের দাবি প্রধানমন্ত্রীর

সময় জার্নাল ডেস্ক। নবম বার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার বক্তব্যে পাঁচ দফা প্রস্তাব রেখেছেন তিনি। প্রথম প্রস্তাবে তিনি বলেন, এই বৈশ্বিক মহামারি থেকে টেকসই উত্তরণের ওপরই এখন এসডিজির সাফল্য নির্ভর করছে। এখন বিশ্বের সব স্থানে টিকা নিশ্চিত করা সময়ের দাবি এবং তা অতি জরুরি।

গতকাল আর্থ ইনস্টিটিউট, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, গ্লোবাল মাস্টার্স অব ডেভেলপমেন্ট প্র্যাকটিস ও ইউএন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশনস নেটওয়ার্ক আয়োজিত সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, আমাদের এসডিজি অর্জনের পথে ফিরে যাওয়ার জন্য একটি সাহসী ও উচ্চাভিলাষী বৈশ্বিক রোডম্যাপ প্রণয়ন করা প্রয়োজন, যাতে কেউ পেছনে পড়ে না থাকে। এ সময় তিনি কোভিড-১৯ পরিস্থিতি থেকে স্থায়ীভাবে উত্তরণ নিশ্চিত করে ২০৩০ সাল নাগাদ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের জন্য একটি বৈশ্বিক রোডম্যাপের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

দ্বিতীয় প্রস্তাবে শেখ হাসিনা বলেন, ২০৩০ অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে আমাদের সম্পদের যে বিশাল ব্যবধান রয়েছে, তা অবশ্যই কমাতে হবে।

তৃতীয় প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলমান বৈশ্বিক মহামারির অভিঘাতের কারণে ১৯৯৮ সালের পর এই প্রথমবারের মতো বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, তার জন্য আমরা উদ্বিগ্ন। অধিকন্তু, আমাদের পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সামাজিক সুরক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনীর ওপর অধিক গুরুত্ব দিতে হবে।

শেখ হাসিনা তার চতুর্থ প্রস্তাবে বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি থেকে পুনরুদ্ধার পদক্ষেপগুলো ভবিষ্যতে যেকোনো ধরনের বিপর্যয় বা দুর্যোগ মোকাবিলায় জোরালো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণকে পূর্ণতা দেবে।

পঞ্চম ও সবশেষ প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নে অবশ্যই পর্যবেক্ষণ জোরদার করা ও যান্ত্রিক সহায়তার ওপর আরও গুরুত্ব দিতে হবে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, এ ব্যাপারে জাতিসংঘের সমন্বয় বাড়ানো উচিত। জরুরি পরিস্থিতি ও বিপর্যয় মোকাবিলায় যথাযথ ও সময়োপযোগী সহায়তা পদক্ষেপ নিশ্চিত করার ওপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

প্রধানমন্ত্রী মহামারি ও অন্যান্য জরুরি পরিস্থিতির জন্য প্রতিটি স্তরে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রস্তুতি বৃদ্ধির পরামর্শ দেন।

২০৩০ অ্যাজেন্ডাকে একটি বৈশ্বিক চুক্তি আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, এটি সবার অন্তর্ভুক্তিতে আমাদের টেকসই বৈশ্বিক উন্নয়নের একটি ব্লুপ্রিন্ট। কোনো দেশ একা এই অ্যাজেন্ডা অর্জন করতে পারবে না। এই অ্যাজেন্ডা অর্জনে আমাদের বৈশ্বিক সহযোগিতা ও সংহতি বাড়াতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই ডিকেড অব ডেলিভারি এবং অ্যাকশন অব দ্য অ্যাজেন্ডাতে প্রবেশ করলেও লক্ষ্য এখনো দূরেই রয়ে গেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, এমনকি কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারির আগেও অনেক দেশ এসডিজি অর্জনের পথে ছিল না। এই মহামারি তাদের সেই পথ থেকে আরও পিছিয়ে দিয়েছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, কোভিড-১৯ বিশ্বকে হতাশ করেছে। বৈশ্বিক প্রাণঘাতী এই মহামারি বহু মানুষের জীবন কেড়ে নেয়ার পাশাপাশি এর কারণে অসংখ্য মানুষ তাদের জীবিকা হারিয়েছে। মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষ দরিদ্র হয়ে পড়েছে এবং ক্ষুধার্ত রয়েছে। মহামারির কারণে শিক্ষার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে, বিশেষত শিশুদের শিক্ষা।

বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি এই মহামারিতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এর ফলে আমাদের উন্নয়নের অর্জন ও এসডিজির অগ্রগতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশের প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনে অ্যাডাপটেশন ও মিটিগেশন প্রচেষ্টার পথিকৃৎ। আমরা সম্প্রতি একটি উচ্চাভিলাষী ও আধুনিক এসডিজি পেশ করেছি।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা সবুজ উন্নয়নের মাধ্যমে সমৃদ্ধি অর্জন, লবণাক্ত–সহিষ্ণুতা ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে প্রাধান্য দিয়ে মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান গ্রহণ করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের প্রথম পাঁচটি দ্রুততম অর্থনৈতিক অগ্রগতির দেশের মধ্যে অন্যতম। জিডিপিতে বাংলাদেশের অবস্থান ৪১তম। জাতিসংঘ এ বছর বাংলাদেশকে এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণের স্বীকৃতি দিয়েছে। ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চমধ্য আয়ের দেশে ও ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশে রূপান্তরের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশিত সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট রিপোর্ট ২০২১-এর বরাত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সাল থেকে এসডিজি সূচকে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি লাভ করেছে।

সময় জার্নাল/আরইউ


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল