আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীসভা ঘোষণা করেছে তালেবান সরকার। মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে উপমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে বিভিন্ন সংখ্যালঘু ও জাতীগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরাও স্থান পেয়েছেন। তবে কোনো নারী প্রতিনিধি রাখা হয়নি। খবর প্রকাশ করেছে আল-জাজিরা।
সংবাদ সম্মেলনে তালেবানের প্রধান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, জাতিগত সংখ্যালঘু হাজারার প্রতিনিধিদের মন্ত্রীসভায় রাখা হয়েছে। আর নারী প্রতিনিধিদের পরবর্তীতে হয়তো যোগ করা হতে পারে।
এ সময় তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। বলেন, এটি আটকে রাখার আর কোনো কারণ নেই।
তালেবানের প্রধান মুখপাত্র বলেন, আমাদের সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া জাতিসংঘের দায়িত্ব। ইউরোপ, এশিয়া ও ইসলামিক দেশসহ অন্যান্য দেশগুলোর জন্যও একই কথা প্রযোজ্য। তাদের আমাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক চালু করতে হবে।
অবশ্য নতুন মন্ত্রীসভায় পাঞ্চশির ও বাঘলান প্রদেশ থেকে কাউকে রাখা হয়নি। এই দুটি প্রদেশ তালেবান বিরোধী জোট জাতীয় প্রতিরোধ ফ্রন্টের ‘হোম’ বলে পরিচিত।
মন্ত্রীসভায় স্থান পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- ভারপ্রাপ্ত বাণিজ্যমন্ত্রী হাজি নুরুদ্দিন আজিজি। বাণিজ্য উপমন্ত্রী হাজি মোহাম্মদ বশির ও হাজি মোহাম্মদ আজিম। জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী কালান্দার এবাদ। স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী আব্দুল বারী ওমর ও মুহাম্মদ হাসান গায়ীসি।
স্বরাষ্ট্র উপমন্ত্রী মোল্লা মুহাম্মদ ইব্রাহীম, প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী মোল্লা আব্দুল কাইয়ুম জাকির, জ্বালানি এবং পানি মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মুজিবুর রহমান ওমর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী গোলাম গাউস, সীমান্ত এবং উপজাতি বিষয়ক উপমন্ত্রী হাজি গুল মুহাম্মদ ও গুল জারিন কোচাই, শরণার্থী ও প্রত্যাবাসন বিষয়ক উপমন্ত্রী আরসালা খরোটি ও উচ্চশিক্ষা উপমন্ত্রী লুতফুল্লাহ খাইরখোয়া।
এছাড়া জাতীয় অলম্পিক কমিটির ভারপ্রাপ্ত হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন নাজার মুহাম্মদ মুতমাইন, জাতীয় পরিসংখ্যান কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান করা হয়েছে মুহাম্মদ ফকিরকে এবং পরমাণু শক্তি বিভাগের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন নাজিবুল্লাহ।
সময় জার্নাল/এমআই