ইমরান মাহফুজ : রাজধানীর গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র আয়োজিত মুজিব শতবর্ষে শত গ্রন্থাগারে 'পড়ি বঙ্গবন্ধুর বই, সোনার মানুষ হই' শীর্ষক ধারাবাহিক পাঠ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।
'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' নিয়ে রচনা লিখার তিনমাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি এমপি। আয়োজিত ধারাবাহিক পাঠ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী ১০০টি পাঠাগারের প্রত্যেকটিকে তিন হাজার টাকা করে মোট তিন লক্ষ টাকা অনুদানের ঘোষণা দেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যখনই সময় পেতেন, তখনই বই পড়তেন। এমনকি কারাগারে অন্তরীণের দিনগুলোতে তাঁর সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিল বই। আর আমরা যখন কোন সেলুনে যাই, তখন অবসর সময়ে আমরা হাতের নাগালে (বই, পত্রিকা) যা কিছু পাই, তা পড়ার চেষ্টা করি। এতে করে করে আমাদের সময়টি যেমন সুন্দর কাটে, তেমনি আমরা জ্ঞানের আলোয় সমৃদ্ধ হই। সে বিষয়টি বিবেচনা করে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে সারা দেশে ১০০টি সেলুন লাইব্রেরি চালু করা হয়েছে।
সরকারি-বেসরকারি গ্রন্থাগারের উন্নয়নে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইসিটি বিভাগের সহযোগিতায় লাইব্রেরি ডিজিটালাইজড করার একটি সমন্বিত প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে যেটি বাস্তবায়িত হলে লাইব্রেরি হতে তথ্য সেবা গ্রহণ ও প্রদানের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন সূচিত হবে। এর মাধ্যমে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের অধীন ৭১টি সরকারি গ্রন্থাগার, আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের অধীন জাতীয় গ্রন্থাগার, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র এবং বিভিন্ন বেসরকারি গ্রন্থাগারসমূহ একই নেটওয়ার্কে যুক্ত হবে।
সিমিন হোসেন রিমি এমপি বলেন, ইবুক বা সোশ্যাল মিডিয়া কাগজে মুদ্রিত বইয়ের বিকল্প নয়, বরং সহায়ক হতে পারে। বইয়ের গুণের শেষ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, বই পড়ার মাধ্যমে জ্ঞান, সৃজনশীলতা ও সহানুভূতি-সহমর্মিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা বেশি বই পড়াশোনা করেন, তারা দ্রুত, সুন্দর ও গোছানোভাবে তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা প্রদান করেন গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুবকর সিদ্দিক এবং বেসরকারি গ্রন্থাগার প্রতিনিধি ও দনিয়া পাঠাগারের সভাপতি মো. শাহনেওয়াজ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক কবি মিনার মনসুর।
সময় জার্নাল/এমআই