নিজস্ব প্রতিবেদক।সময় জার্নাল : সময়ের পরিক্রমায় দেশের প্রত্যেক নাগরিক ডিজিটাল বাংলাদেশের সব ধরণের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। দেশের এমন কোন জায়গা নেই যে ডিজিটালের ছোয়া লাগে নি। ফলে দেশের মানুষ ক্রমাগত প্রযুক্ত নির্ভর হয়ে পড়ছেন। প্রযুক্তি নির্ভর জাতি হিসেবে আমাদের যাত্রা শুরুতে মসৃণ থাকলেও এখন বেশ ঝুঁকির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। দিন যত গড়াছে দেশের প্রযুক্তি সহায়ক প্রতারকরা নিত্য নতুন ফন্দি একে ডিজিটাল সেবাগ্রহীতা জনতাকে বিপদে ফেলতে সদা তৎপর। এহেন পরিস্তিতে ডিজিটাল প্রতারণা ও হয়রানির হাত থেকে নিরীহ নাগরিককে সাইবার স্পেসে নিরাপত্তায় এগিয়ে এসেছে ‘ পাওয়ার্স টিম” । এ টিমের মূল কাজই হচ্ছে সাইবার স্পেসে জনতা একটু স্বস্তিতে রাখা।
এখন প্রশ্ন আসছে পাওংয়ার্স টিমের কাজ কী? তারা কি করে জনতাকে সাইবার জগতে সহযোগীতা করেন।
প্রযুক্তির মাধ্যমে যোগ হয়েছে ফেসবুক,টুইটার,ইন্সট্রাগ্রামসহ বেশ কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যা কিনা বর্তমান বিশ্বে এখন খুবই জনপ্রিয়। তবে কখনো কখনো এসব যোগাযোগ মাধ্যম কারও জীবনে হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। যেমন ধরেন আপনি অনেকদিন ধরে আপনার ফেসবুক একাউন্টটি ব্যবহার করছেন। হঠাৎ করে আপনার ফেসবুক একাউন্টটি হ্যাক অথবা নষ্ট হয়ে গেলো আর আপনার সেই ফেসবুক একাউন্টের মাঝে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস ছিলো যা আর কোথাও কপি করা নেই।তখন আপনার অবস্থা কেমন হবে?আপনার এসব সমস্যা তাৎক্ষনিকভাবে সমাধানের জন্য কাজ করে যাচ্ছে পাওয়ার্স টিম পিটি নামক একটি সাইবার সিকিউরিটি হ্যাকার গ্রুপ।
এসব বিষয়ে পাওয়ার্স টিমের ফাউন্ডার মাসুম বিল্লাহ নাহিদ বলেন,মূলত সাইবার অপরাধের কারণে অনেকের প্রাণনাশের মতো ঘটনা ঘটে।তাই এই ধরণের সমস্যা থেকে মানুষকে সহযোগিতা করতে আমাদের এই কার্যক্রমটি শুরু করি।আমরা চাই সবাই যেন একটি নিরাপদ ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারে।কেউ যেন অনলাইনে কোনো প্রকার হ্যারাসমেন্টের শিকার না হয় সেই লক্ষে আমাদের প্রতিটি কর্মী কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন,অনলাইন প্ল্যাটফর্মে মানুষ প্রতিনিয়তই বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।তাদের এসব সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের ২৫০ জনের ও বেশি মেম্বার নিয়ে একটি আইটি বিশেষজ্ঞ টিম রয়েছে যারা কিনা সর্বদা মানুষকে বিভিন্ন অনলাইন রিলেটেড সেবা প্রদান করে থাকে।যেমন,কারোর ফেসবুক,ইন্সট্রাগ্রাম,জিমেইল, টুইটার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন আইডি হ্যাক অথবা ডিজেবল হয়ে গিয়েছে সেটা রিকভার করে দেয়া এবং সেটা কোনো ফি ছাড়াই।আমাদের মূল লক্ষই হলো অনলাইন প্ল্যাটফর্মটাকে নিরাপদ রাখা এবং সবাইকে একটি নিরাপদ ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্ম উপহার দেয়া।
শুরুটা কিভাবে হয় জানতে চাইলে পাওয়ার্স টিমের ফাউন্ডার মাসুম বিল্লাহ নাহিদ বলেন, আমাদের টিমের যাত্রা শুরু হয় ২০১৮ সালের ৭ই মে। শুরুতে মাহিন, মাহমুদুল, সাজু, আইমান জুলফিকার, শাহজাদা, তরিকুল , ফুয়াদ, রুমান, ফজলে রাব্বি, জসিম, আরমান, শুভ্রত মন্ডল, আবির, সিয়াম, তারেক, ইশকিয়া, সোহান, জীবন, আকাশ, সিফাতুল্লাহ, আজিজুর, রায়হান, আলিফ, নওশাদ রাসেল সহ সারা দেশ থেকে বাচাইকৃত শতাধিক সাইবার বিষয়ক অভিজ্ঞ আইটি স্পেশালিষ্ট নিয়ে কাজ করে পাওয়ার্স টিম নামক এই হ্যাকার গ্রুপ। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে মানুষকে নিরাপদ রাখা এবং মানুষকে অনলাইন সম্পর্কিত বিভিন্ন সাহায্য করা যেমন ভার্চুয়াল থেকে দেশদ্রোহী, ধর্ম বিরোধী, হ্যারেসমেন্ট সহ বিভিন্ন অপরাধ জড়িত আইডি, গ্রুপ এবং পেইজ নিষ্ক্রিয় করা। এছাড়াও যদি কোন দেশ আমাদের বাংলাদেশের সাইবার স্পেসে আক্রমণ চালায় তাহলে আমরা তাদেরকে পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে থাকি।আমাদের মূল লক্ষই হলো বাংলাদেশের সাইবার স্পেসকে নিরাপদ রাখা এবং বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ যেন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নিরাপদ থাকে সেই লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে পাওয়ার্স টিম বলে জানান তিনি।
সময় জার্নাল/আরইউ