সময় জার্নাল ডেস্ক :
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্ম ও আদর্শ থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজ নিজ দেশ ও জনগণের সেবায় নিয়োজিত হওয়ার জন্য বিশ্বের যুবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু গ্লোবাল ইয়ুথ লিডারশিপ এওয়ার্ড’ (বিজিওয়াইএলএ) অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী ভাষণে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বের তরুণদের অনুরোধ করবো বঙ্গবন্ধুর কর্ম ও আদর্শ থেকে শিক্ষা নিন এবং নিজ নিজ দেশ এবং জনগণের সেবায় নিজেদেরকে নিয়োজিত করুন, ঠিক যেমনটি বঙ্গবন্ধু করেছিলেন।’
বৃহস্পতিবার বিকেলে বঙ্গভবনের গ্যালারি হল থেকে রাষ্ট্রপ্রধান ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এ সময় সংশ্লিষ্ট সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও বড় পর্দার মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন, ইসলামিক কোঅপারেশন ইয়ুথ ফোরামের (আইসিওয়াইএফ) সভাপতি তাহা আয়হান এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল সভাপতিত্ব করেন।
বঙ্গবন্ধুর কর্ম এবং তাঁর জন্মবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানের কথা স্মরণ করে আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমি নিজে খুব সৌভাগ্যবান যে আমি জাতির পিতার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলাম এবং তাঁর কর্ম যাত্রায় অংশ নিয়েছিলাম।’
সাম্প্রতিক সময় বাংলাদেশ আর্থ-সামজিক ক্ষেত্রে বিরাট অগ্রগতি অর্জন করেছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলার’ স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্বে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জনের জন্য বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে।
রাষ্ট্রপতি অভিমত ব্যক্ত করেন, “টেকসই উন্নয়নের এই গতি অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে।”
কোভিড-১৯ মহামারি ছড়িয়ে পড়া এবং পরবর্তীতে বিশ্বব্যাপী এর বিরূপ প্রভাবের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্ব এই মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করছে এবং বর্তমান সরকার করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের সকল নাগরিককে পর্যায়ক্রমে টিকা কার্যক্রমের আওতায় আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিশ্ব অর্থনীতিতে করোনা মহামারির নেতিবাচক প্রভাব সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী এবং সাহসী পদক্ষেপের কারণে সরকার করোনাভাইরাসের প্রভাব মোকাবেলা করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নামে এই অনুষ্ঠানের নামকরণের মাধ্যমে আমাদের দেশ ও সারা বিশ্বের তরুণদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দেওয়ার একটি অর্থবহ উদ্দেশ্য সাধন করেছেন।
বঙ্গবন্ধুর ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বে দেশের উত্থানের বর্ণনা দিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, তিনি প্রবল চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আপসহীন ছিলেন।
বিশ্বের জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ যুব শক্তি, তাদেরকে মূল চালিকা শক্তি হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন,সরকার বিশেষ করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয় বাংলাদেশকে একটি উন্নত জাতিতে পরিণত করার জন্য এই বিশাল যুব শক্তির সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি প্রথমেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু, চার জাতীয় নেতা এবং মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মদানকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আবদুল হামিদ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের বিদেশী বন্ধু ও সমর্থকদের অবদানের কথাও স্মরণ করেন।
সময় জার্নাল/ইএইচ