সর্বশেষ সংবাদ
সময় জর্নাল প্রতিবেদক :
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, করোনায় আক্রন্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিনা খরচে চিকিৎসায় সরকারের সহযোগিতা করা উচিত। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট এর ব্যবস্থা রেখে একাডেমিক কোর্সের মেয়াদ ও সিলেবাস কমানো যেতে পারে। তবে অবশ্যই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিক্ষক ও কর্মচারীদের টিকার আওতায় আনতে হবে। সকল শিক্ষার্থীকে ভ্যাকসিন দেয়া হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক করোনার ঝুঁকি অনেকাংশে কমে আসবে। সম্ভব হলে করোনা আক্রান্ত শিক্ষক শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যায়ভার সরকার করতে পারলে ভালো হয়।
শুক্রবার (১লা অক্টোবর) এফডিসিতে ‘করোনায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হচ্ছে কি না’ তা নিয়ে ছায়া সংসদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, বিশেষজ্ঞদের মতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পূর্বেই ২ ডোজ ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে পারলে ভালো হতো। তা না হলে শিক্ষা কার্যক্রম ঝুকির মুখে পড়তে পারে। সরকারের করোনা খাতে যথেষ্ট বরাদ্দ থাকা সত্বেও সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ ও প্রয়োজনীয় আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিত করা হয়নি। শারিরিক দুরত্ব বজায় রেখে ক্লাশ নেওয়া সহ সরকারের বিভিন্ন নির্দেশনা বাস্তবায়নের সক্ষমতা সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নেই। জানা গেছে এই কারণে কোথাও কোথাও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ভয়ে কোভিড আক্রান্তের তথ্য গোপন করা হচ্ছে। এছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্পট রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দ্রুত করোনার টিকা দেয়ার ব্যবস্থা সহ মনিটরিং জোরদার করা উচিত। একইসাথে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনায় নেওয়া উচিত। করোনায় সুরক্ষা নিশ্চিত করে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র পক্ষ থেকে ৮ দফা সুপারিশ তুলে ধরেন সংগঠনের চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
সুপারিশগুলো হচ্ছে- ১। স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী কেনার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশেষ বিশেষ অর্থ বরাদ্দ দেয়া ২। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র্যাপিড টেস্টের ব্যবস্থা রাখা ৩। জরুরি প্রয়োজনের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আইসোলেশন কক্ষ সহ অক্সিমিটার ও অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা রাখা ৪। শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা পরিবহন ব্যবস্থা করা ৫। পরবর্তী শিক্ষাবর্ষের মেয়াদ কমিয়ে ১০ মাসে সমাপ্ত করা ৬। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্পট রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে দ্রুততার সাথে ভ্যাকসিন প্রদান করা ৭। করোনা আক্রান্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থীর চিকিৎসা খরচ সরকারিভাবে বহন করা ৮। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ সেল গঠন করা।
অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ আরো বলেন, করোনার থেকে রক্ষার জন্য সেরা ভ্যাকসিন হচ্ছে মাস্ক। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিকৃত করোনা রোগীদের তথ্যানুসন্ধানে দেখা যায় তাদের বেশিরভাগই স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে উদাসিন ছিলেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অভ্যাস গড়ে তুললে করোনাজনিত মৃত্যু অনেকাংশে কমে আসবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রোভার স্কাউট, বিএনসিসিসহ অন্যান্য স্বেচ্চাসেবী গ্রুপকে করোনা প্রতিরোধ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করতে হবে।
প্রতিযোগিতায় ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিকে পরাজিত করে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলের মাঝে ট্রফি ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। বিচারক ছিলেন- অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, ড. এস এম মোর্শেদ, সাংবাদিক জিনিয়া কবির সূচনা, ফালগুনী রশীদ ও আতাউর রহমান কাবুল।
সময় জার্নাল/ইএইচ
Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.
উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ
কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল