......................
আজকে আকাশ গোমড়ামুখো, আজকে আকাশ বন্ধ,
হারিয়ে গেছে আকাশজুড়ে সোনা রোদের ছন্দ।
বজ্রপাতের ঝলকানি আর তীব্র হাওয়ার মিল,
উড়ছেনা আজ নীলের বুকে খয়েরী ডানার চিল।
শুকনো পাতা ঊর্ধ্বমুখী হাওয়ার সাথে ঘূর্ণি,
আকাশটা আজ পাগলী মেয়ের কাজল রঙা উড়নি।
আজকে আকাশ বড্ড রেগে গর্জে ওঠে তীব্র বেগে
ভাবটা যেন ভাঙবে জমিন এক্ষুনি সবেগে।
উধাও হলো নদীর দুকূল, ঘরবাড়ি, মসজিদ,
নতুন বৌয়ের বাসনকোসন, রাত্রিভরা নিদ।
মেঘের সাথে পাল্লা দিয়ে গর্জে ওঠে নদী
ভয়াল যেন সমুদ্দুরের আঘাত নিরবধি।
আজকে মাটি থরথরিয়ে উঠছে কেঁপে কেঁপে
কি আচানক আশংকাতে,কি নিদারুন পাপে!
ছটফটিয়ে উঠছে ভূমি তীব্র ভূ-কম্পনে,
হুড়মুড়িয়ে ভাঙছে দালান করুণ অসম্মানে।
জ্বলছে আগুন দাউ দাউ দাউ উজাড় হলো বন,
উজাড় হলো অবুঝ প্রাণী, সবুজ ভরা মন।
যতই করো কৌশল তবু যায়না রোখা তাকে,
জাহান্নামের আগুন কি আর কাউকে ছেড়ে থাকে?
কলুষিত হচ্ছে সাগর আবর্জনার স্রোতে,
বন হারিয়ে গড়ছে বসত মানব চাহিদাতে।
একটুও নেই শান্ত বাতাস, বিষ ছাড়া নিঃশ্বাস,
পৃথিবীটা ক্রমেই যেন দুর্যোগের আবাস।
কোথায় গেলো উথাল পাথাল কাজলা দিঘির জল?
দিঘির বুকে শুকনো বালু নলখাগড়ার দল।
কোথায় গেলো দাদির আদোর, স্নেহভরা গল্প?
ওসব এখন রুপকাহিনী, কেবল রূপকল্প।
গল্পগুলো আর ফেরেনা,প্রাণ করে আনচান
বিশ্ব এখন বিশ্ব পাপের ঘৃণ্য উপাখ্যান।
শেখ ফাহমিদা নাজনীন
২ সেপ্টেম্বর, ২০২১