মোঃ আশ্রাফুল আলম ভূঁইয়া :
শিক্ষার শুরু থেকে শেষ, প্রতিটি ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থীর জীবনে শিক্ষকের ভূমিকা যে কতটা তা বলে বোঝানো যায় না। প্রাথমিক শিক্ষা মা-বাবার থেকে পেলেও পরবর্তী শিক্ষা বা উচ্চ শিক্ষার প্রতিটি ধাপে অগ্রসর হওয়ার ক্ষেত্রে একজন শিক্ষকের ভূমিকা অপরিসীম। একজন শিক্ষার্থীর জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে যোদ্ধার মতো পাশে থাকেন শিক্ষকেরা। তাই, বছরের বিশেষ একটি দিন তাঁদের জন্যই বরাদ্দ যাঁরা আমাদের গড়েছেন, জীবনে চলার পথ দেখিয়েছেন। তাঁদেরকে শ্রদ্ধা ও সম্মান জানাতে প্রতিবছর ৫ ই সেপ্টেম্বর পালিত হয় 'শিক্ষক দিবস'।
শিক্ষকতা একটা মহান পেশা। আমরা সকলেই আমাদের পরিবারে এবং আত্মীয়স্বজনের মাঝে শিক্ষকতা পেশায় থাকাদের নিয়ে গর্ববোধ করি।
সমাজ এবং প্রতিটি মানুষের জীবনে যে শিক্ষকদের গুরুত্ব অপরিসীম, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। শিক্ষার্থীদের জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে এবং তাদের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার শক্তি যোগায় শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাঁরাই হলেন সমাজের প্রকৃত হিরো। তাঁদের প্রচেষ্টা এবং চরিত্রের উপরে যেকোনও মানুষের এমনকি দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে। একজন শিক্ষার্থীর জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে যোদ্ধার মতো পাশে থাকেন শিক্ষকেরা।
শিক্ষকরা আমাদের চলার পথ দেখান, ঠিক-ভুল চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন, জীবনের প্রতিটা পদক্ষেপে আমাদের পাশে দাঁড়ান, হৃদয় স্পর্শ করেন।
শিক্ষক-শিক্ষিকারাই হল সমাজের সবচেয়ে দায়িত্বশীল ও গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। এ দায়িত্বশীল এবং গুরুত্বপূর্ণ এ সদস্যদের প্রতি আমাদের ভালোবাসাটা নির্দিষ্ট কোন দিবসের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে প্রতিটা দিন, প্রতিটা বছরই ছড়িয়ে দেয়া হোক। শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসায় বেঁচে থাকুক শিক্ষকতার মত এ মহান পেশায় নিয়োজিত সকল শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
লেখকঃ মোঃ আশ্রাফুল আলম ভূঁইয়া
উপদেষ্টা, 'বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম'
(বৃহত্তর চট্টগ্রাম শাখা)