নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর কোতোয়ালী থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ পাঁচজনকে অব্যাহতি দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন পুলিশের দেয়া চার্জশিট আমলে গ্রহণ করে এ আদেশ দেন। বিবাদীপক্ষের আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম এ তথ্য জানান। ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক হাসান আল মামুন পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
অব্যাহতি পাওয়া অপর চার আসামি হলেন- ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম (২৮), নাজমুল হাসান সোহাগ (২৮), নাজমুল হুদা (২৫) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহিল বাকী (২৩)।
গত বছর ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কোতোয়ালী থানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের এক শিক্ষার্থী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় ওই তরুণীকে অপহরণের পর পারস্পরিক সহযোগিতায় ধর্ষণ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেয় প্রতিপন্ন করার অভিযোগ আনা হয়।
সেই মামলায় নাজমুল হাসান সোহাগকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত করে পৃথক চার্জশিট দাখিল করা হয়। মামলাটি ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ বিচারাধীন। অপরদিকে মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৯(১) ধারায় হাসান আল মামুনকে অভিযুক্ত করে পৃথক চার্জশিট দাখিল করেন ডিবির পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান।
একই শিক্ষার্থী এই ছয়জনের নামে লালবাগ থানায়ও একটি মামলা করেন। সেই মামলাতেও হাসান আল মামুনকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করা হয়, যা বর্তমানে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ বিচারাধীন।
গত বছর ১৪ অক্টোবর ওই শিক্ষার্থী নুরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় দায়ের করেন। নুরের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পায়নি মর্মে তাকে অব্যাহতির আবেদন করে প্রতিবেদন দাখিল করেছে পিবিআই।
এমআই