নিজস্ব প্রতিবেদক : উত্তরায় ডিশ ব্যবসা নিয়ে দখলের পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানের পাশাপাশি গত রোববার রাতে উত্তরা পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাহেদ মোস্তফাকে মারধর করার অভিযোগ করেছে একটি পক্ষ। তাকে হেনস্থার প্রতিবাদ করে পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের বেশীর ভাগ নেতা অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবি তুলেছেন। এ জন্য তারা স্থানীয় সাংসদসহ দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ নিয়ে উত্তরা পাশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মুলত হাইব্রিড বির্তকের কারণেই উত্তরায় প্রায়ই ডিশ ব্যবসা দখলের অভিযোগ উঠে বলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানায়।
অপর দিকে স্যাটেলাইট ভিশন নামের ডিশ ব্যবসার মালিক শিমুল গত রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে সাহেদের বিরুদ্ধে তার ডিশ ব্যবসা দখলের অভিযোগ তুলে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। বিকেলে সাহেদের বিরুদ্ধে ব্যবসা দখলের অভিযোগ তুলে সাংবাদিক সম্মেলন করার কয়েক ঘণ্টার মাথায় রাতে উত্তরা ৭ নং সেক্টরের ৯ রোডে সাহেদের উপর হামলা করে দুষ্কৃতিকারীরা। এ ঘটনায় সাহেদ আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি আছে বলে জানান পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতা।
উল্লেখ্য গত বেশ কয়েকদিন থেকে উত্তরা ৭ নং সেক্টর এলাকায় সাটেলাইট ভিশনসহ আরো কয়েকটি সার্ভিস প্রোভাইডারের লাইন কেটে নিচ্ছে রাতের আধারে। তবে ভিশনের স্বত্বাধিকারী শিমুল এ জন্য সাহেদকে দোষারোপ করে আসছেন। যদিও সাহেদ এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমরা কয়েকজন মিলে আগে থেকেই উত্তরার ডিশ ও ইন্টারনেট ব্যবসা করতেছি। এখানে কারো লাইন কাটার প্রশ্নই আসে না। তাছাড়া অভিযোগকারী নিজে রাজনৈতিক সুবিধা নিয়ে গত ১২ বছর অনেকের ব্যবসা দখল করে নিজে ফেলে ফুপে বড় হয়েছেন।’ তিনি অভিযোগ করেন, ‘বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে হঠাৎ করেই আওয়ামী লীগে নাম লেখান শিমুল। প্রয়াত সাহারা খাতুনের একজন ঘনিষ্ঠ আত্বীয়কে সুবিধা দিয়ে শিমুল উত্তরায় ডিশ ও ইন্টারনেট ব্যবসার প্রসার ঘটান। প্রয়াত এমপির সেই আত্বীয়ের প্রভাবে শিমুল এখন উত্তরার বড় একজন ডিশ ও ইন্টারেন্ট ব্যবসায়ী। যার মাসিক আয় প্রায় দেড় কোটি টাকা।’
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে শিমুল বলেন, তিনি যুবলীগ দিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নাম লেখান এবং ১ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সিনিয়র সহ সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন। বর্তমানে তিনি পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সাংগঠনিক পদে আছেন।
উত্তরা ১ নং ওয়ার্ড এলাকার তখনকার যুবলীগ নেতা ও বর্তমান পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ সিদ্দিকী কাক্কা প্রতিবেদককে বলেন, ‘শিমুল কখনোই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল না। ব্যবসার সুবাধে দুই একজন নেতার সাথে চলতো তবে কোন পোষ্ট-পদবি ছিল না।’ তবে শিমুলের থানা সাংগঠনিক সম্পাদক পদ নিয়ে তিনি বলেন, ‘সে আমাদের কমিটির কেউ না, আমাদের নগর এবং থানার প্রস্তাবিত কমিটিতে তার নাম ছিল না। সাহারা আপা তার এক আত্বীয়ের প্রভাবে হঠাৎ একদিন ফোন দিয়ে শিমুলকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রাখতে বলেন। উনি মোষ্ট সিনিয়র, তাই উনার কথা আমরা ফেলতে পারিনি। শিমুল একজন অনুপ্রবেশকারী। পদ নিয়ে গেলেও গত কয়েক বছরে ১৫ আগষ্টসহ কোন অনুষ্ঠানেই তার উপস্থিতি কেহ প্রমান করতে পারবে না। সে দল করে সুবিধার জন্য।’
তবে এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন শিমুল।
সময় জার্নাল/ইম