এহসান রানা, ফরিদপুর থেকে :
দেশে পেঁয়াজ বীজের মোট চাহিদার ৬৫ থেকে ৭০ ভাগই উৎপাদিত হয় ফরিদপুর জেলায়। এ জেলায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে পেঁয়াজ বীজের আবাদ, সেই সাথে লাভজনক হওয়ায় যুবকরাও আগ্রহী হচ্ছেন এ ফসলের আবাদে। চলতি বছরেও এক হাজার সাতশ ১১ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে পেঁয়াজ বীজ, যা থেকে প্রায় এক হাজার মেট্রিক টন বীজ উৎপাদিত হবে, আর আয় ছাড়িয়ে যেতে পারে দুইশ কোটি টাকা।
জেলার সদরপুর উপজেলার পেয়াজ দানা চাষী আল আমীন এক দশক আগে এক একর জমিতে পেয়াজ বীজ আবাদ শুরু করলেও চলতি বছরে আবাদ বাড়িয়েছেন ২১ একরে। সদরপুরের সীমানা ছাড়িয়ে তিনি পেঁয়াজ দানা আবাদ করছেন পাশের চরভদ্রাসন উপজেলার একাধিক মাঠের কৃষি জমিতেও।
সফল পেঁয়াজ দানা উৎপাদনকারী আল আমীন দানা চাষাবাদের কৌশল ও সুবিধা অসুবিধায় পরামর্শ দেন আশেপাশের চাষীদেরও।
পেঁয়াজ দানা চাষ লাভজনক হওয়ায় শুধু আল আমীনই নয় জেলার বিভিন্ন উপজেলায় মাঠগুলোতে পেঁয়াজ বীজ আবাদে মনোনিবেশ করেছেন অনেক চাষী, যাদের একটি অংশ শিক্ষিত যুবক। যদিও কৃষি কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ পম পান বলেও অভিযোগ চাষীদের।
স্থানীয় যুবকেরা মনে করেন, সরকারীভাবে প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহযোগীতা পেলে বাড়বে পেয়াজ চাষীর সংখ্যা, এতে হ্রাস পাবে বেকারত্বও।
জেলার কৃষি কর্মকর্তাদের দাবী, আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবছর ভালো ফলন হবে। একই সাথে ফরিদপুরে উৎপাদিত পেঁয়াজ বীজ দিয়ে দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানী করার।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এক যুগ আগে ২০০৮-১০ অর্থ বছরে এক হাজার পাঁচশ ২৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ বীজের আবাদ হলেও ২০২০-২১ মৌসুমে আবাদ হয়েছে এক হাজার সাতশ ১১ হেক্টর জমিতে, যা থেকে উৎপাদিত হবে এক হাজার মেট্রিক টনের অধিক বীজ, আর বাজার মূল্য ছাড়িয়ে যাবে দুইশ কোটি টাকা।
সময় জার্নাল/এআর/ইএইচ