এহসান রানা। ফরিদপুর : জেলার বোয়ালমারী পৌরসভার আধারকোঠা গ্রামের মোসা. নিলুফার ইয়াসমিন (৪৫) নামে এক গৃহবধূ খুনের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে থানায় মামলা হয়েছে।নিহতের ছেলে মো. ইমরান হোসেন বাদি হয়ে শনিবার দিবাগত রাতে এ হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নম্বর- ০৩।
এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশ মো. রবিউল শেখ ও দেলোয়ারকে থানা হেফাজতে রেখেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিলুফারকে মাথায় ও কপালে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সন্দেহভাজন হিসেবে মো. রবিউল শেখ, মো. জাহিদুল ইসলাম, দেলোয়ার, নাহিদ আলম, মনির ও রাজু, নামের ছয় ব্যক্তির নাম উল্লেখ থাকলেও সেখানে কারো বাবার নাম বা ঠিকানা উল্লেখ নেই। উল্লেখিত ব্যক্তিরা ওই বাড়িতে মাঝে মাঝে আসা যাওয়া করতেন বাদির সন্দেহ। কিন্তু মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে (এফআইআর) আসামির কলামে কারো নাম উল্লেখ নেই। সেখানে আসামির নাম ‘অজ্ঞাতনামা কে বা কাহারা’ উল্লেখ রয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সালাউদ্দিন জানান, পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান ও মধুখালী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কর গত শনিবার রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশী হেফাজতে থাকা সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। একেবারে সূত্রবিহীন ও মর্মান্তিক এ হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলাটি স্পর্শকাতর হওয়ায় এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য যাচাই বাছাই করে দেখা হচ্ছে।
এ ব্যাপারের সত্যতা নিশ্চিত করে বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ নুরুল আলম বলেন, বাদির লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরই মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি সরকারের অন্যান্য সংস্থাও ঘটনার দিন থেকে আলামত সংগ্রহ করে তদন্ত করছে। প্রকৃত দুষ্কৃতকারীদের ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) রাতে বোয়ালমারী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আধারকোঠা গ্রামের গৃহবধুর বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে নিলুফার ইয়াসমিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে ওই গ্রামের সাবেক সেনা সদস্য মৃত মো. আবুল খায়ের মন্ডলের স্ত্রী। তিনি ওই বাড়িতে অধিকাংশ সময় একাই থাকতেন।
সময় জার্নাল/আরইউ