মুরাদ ইমাম কবির, হিলি প্রতিনিধি: দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলায় আমনের ধান ক্ষেতে দেখা দিয়েছে বিভিন্ন পোকার আক্রমণ। নানা রকম কীটনাশক ছিটিয়েও তেমন সু-ফল মিলছেনা।
কৃষকরা বলছেন, পোকার আক্রমণে শুকিয়ে যাচ্ছে ধান গাছের পাতা, মরে যাচ্ছে ধান গাছ। এতে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশংকা তাদের। পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সবধরনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
সরেজমিনে হাকিমপুর উপজেলার বিভিন্ন আমনের ধান ক্ষেত ঘুরে দেখা গেছে, চারিদিকে যেন সবুজের সমাহার। দু’চোখ যেদিকে যায় সুধু সবুজ আর সবুজ। দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, হাকিমপুর উপজেলায় এবার ৮ হাজার ১২৬ হেক্টোর জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। আর কয়েক সপ্তাহ’র মধ্যেই ধান গাছের পেটে শীষ আসতে শুরু করবে। এমন মুহুর্তে এসে দিনাজপুরের হিলি-হাকিমপুরসহ আশপাশের উপজেলার আমনের ধান ক্ষেতে দেখা দিয়েছে পঁচারি, মাজরা পোকাসহ বিভিন্ন পোকার আক্রমন। পোকার আক্রমণে শুকিয়ে যাচ্ছে ধান গাছের পাতা, মরে যাচ্ছে ধান গাছ।
এসব পোকা আর বিভিন্ন রোগ বালাইয়ের হাত থেকে রক্ষাপেতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এই অঞ্চলের কৃষকেরা। নানা রকম কীটনাশক প্রয়োগ করেও তেমন সু-ফল মিলছেনা। খোলা বাজার থেকে দেকানীদের পরামর্শ মতে আমন ক্ষেতে নানা রকম ওষধ প্রয়োগ করেও এসব রোগ বালাইয়ের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাচ্ছেনা। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে এসব কৃষক।
আবাদের শুরুতে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবছর জমির ধান গাছও হয়েছে দারুন তরতাজা। কৃষকরা আশা করেছিলো এবছর তারা বাম্পার ফলন ঘরে তুলবে।
কিন্তু পোকার আক্রমনে সবকিছু যেন ভেজতে যেতে বসেছে। ফিকে হতে বসেছে কৃষকের স্বপ্ন। একদিকে ধানের কাঙ্খিত দাম না পাওয়া অন্যদিকে পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে অতিরিক্ত খরচ। ফলে বাড়ছে ধান উৎপাদের ব্যায়। দু-এ মিলে বেকায়দায় কৃষক। সবমিলে ধানের কাঙ্খিত দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত কৃষক।
স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, এখনই পোকা ও রোগবালাইয়ের হাত থেকে ফসল রক্ষা করতে না পারলে একদিকে কৃষক যেমন ক্ষাতিগ্রস্ত হবে অন্যদিকে ধান উৎপাদনের
লক্ষমাত্র ব্যহত হবে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত এসব কৃষক।
ধান গাছে পোকার আক্রমণের কথা স্বিকার করে হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. মমতাজ সুলতানা বলছেন, কৃষকদের সঠিক মাত্রায় ওষধ প্রয়োগে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। সেই সথে আলোক ফাদের মাধ্যমে পোকামাকড় দমনে নানা রকম প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
দিনাজপুর জেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলায় এবার ২ লাখ ৬০ হাজার ৮২৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। এ থেকে ধান উৎপাদনের লক্ষমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ৭ লাখ মেট্রিক টন।
সময় জার্নাল/এমআই