মো. আবদুল্যাহ চৌধুরী, নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর বসুরহাটে নতুন সড়কের ওপর গ্যাসের ছয়টি রাইজার রেখেই ঢালাই দিয়েছে সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের ঠিকাদার। ঝুঁকি নিয়ে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। এতে যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন সড়কে চলাচলকারীরা।
সড়ক নির্মাণের আগে রাইজারগুলো সরিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে সওজ। তবে অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় রাইজারগুলো সরানো সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড।
সোমবার (১১ অক্টোবর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বসুরহাট বাসস্ট্যান্ড থেকে করালিয়ার নবনির্মিত সড়কে রাইজারের পাশ দিয়েই দ্রুতগতির যানবাহন চলছে। কোনো সড়ক বাতিও নেই। রাতের অন্ধকারে মাঝ রাস্তার ওপর রাইজার বিস্ফোরণ হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা এম আলী খান স্বপন বলেন, রাইজার রেখে ঢালাই দেওয়ায় সড়কে চলাচলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট যাদের গাফিলতি আছে তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণসহ রাইজারগুলো দ্রুত অপসারণের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুন্না বলেন, প্রকল্পের কাজ শেষ করতে আমাদের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছ। তাই মাঝখানে চার ফুট করে জায়গা খালি রেখে ঢালাই দিতে হচ্ছে। তারা এটা সরালে আমরা ফের এসে এ কাজটুকু শেষ করবো।
সড়ক ও জনপদ বিভাগের নোয়াখালীর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সড়ক থেকে রাইজার সরিয়ে নিতে আমরা বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের নোয়াখালীর শাখাকে বেশ কয়েকবার চিঠি দিয়েছি। বার বার চিঠি দেওয়ার পরও সময় মতো তারা রাইজারগুলো সরিয়ে নেয়নি।
বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের নোয়াখালীর অফিসের রাজস্ব ও হিসাব শাখার (মাইজদী) সহকারী কর্মকর্তা মো. আসগার হোসাইন বলেন, রাইজার সরিয়ে নিতে অর্থ বরাদ্দের প্রয়োজন। সড়ক বিভাগ আমাদের রাইজার সরিয়ে নিতে কোনো অর্থ বরাদ্দ না দেওয়ায় তা সরানো হয়নি। তবে এখন দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
সময় জার্নাল।আরইউ