আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনিদের ওপর নিপীড়নের প্রতিবাদে ইসরাইলকে বয়কটের সমর্থনে নিজের লেখা ‘বিউটিফুল ওয়ার্ল্ড, হোয়্যার আর ইউ?’ উপন্যাস হিব্রুতে অনুবাদের অনুমতি দেবেন না আয়ারল্যান্ডের লেখিকা স্যালি রনি।
মঙ্গলবার ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম জেরুসালেম পোস্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই খবর জানানো হয়। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে স্যালি রনির ‘বিউটিফুল ওয়ার্ল্ড’ প্রকাশিত হয়। প্রকাশের পরপরই নিউ ইয়র্ক টাইমসের বেস্টসেলার তালিকায় এটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
বিভিন্ন ভাষায় বইটির অনুবাদের বিষয়ে কথা চললেও হিব্রু ভাষায় অনুবাদের প্রসঙ্গে সরাসরি অস্বীকৃতি জানিয়েছেন রনি।
এর আগে রনির প্রথম দুইটি উপন্যাস হিব্রুতে অনুবাদ করা প্রতিষ্ঠান মোডান পাবলিশিং হাউজ ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজকে জানায়, ইসরাইলকে সাংস্কৃতিকভাবে বয়কটের সিদ্ধান্তের কারণে রনি তার নতুন বই হিব্রুতে অনুবাদের অনুমতি দেবেন না। অপরদিকে রনির এজেন্টও হারেৎজের কাছে এই খবর অস্বীকার করে।
৩০ বছর বয়সী রনি শুরু থেকেই ফিলিস্তিনের ওপর ইসরাইলের দখলদারিত্বের বিষয়ে কথা বলে আসছেন। চলতি বছরের মে মাসে গাজায় স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলোর সাথে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর সংঘর্ষের সময় ইসরাইলকে ‘বর্ণবাদী আচরণ’ করার দায়ে অভিযুক্ত করে দেশটিকে বয়কটের জন্য সারাবিশ্বের সহস্রাধিক সাহিত্যিক ও শিল্পীদের খোলা চিঠিতে তিনিও স্বাক্ষর করেন।
বামধারার রাজনীতির অনুসারী স্যালি রনির উপন্যাসেও ফিলিস্তিনের প্রতি তার সহমর্মিতা প্রকাশ পেয়েছে। তার প্রথম উপন্যাস ‘কনভারসেশন উইদ ফ্রেন্ডস’এ ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সমসাময়িক তুলনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। দ্বিতীয় উপন্যাস ‘নরমাল পিপল’ এর মূল চরিত্রগুলো ২০১৪ সালে অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে এক বিক্ষোভে অংশ নেয়।
রনিই প্রথম খ্যাতনামা সাহিত্যিক নন যিনি হিব্রুতে তার বই অনুবাদ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। ২০১২ সালে মার্কিন লেখিকা অ্যালিস ওয়ার্কারও তার ‘দ্য কালার পার্পল’ উপন্যাস হিব্রুতে অনুবাদে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।
২০১৭ সালে প্রকাশিত ‘কনভারসেশন উইদ ফ্রেন্ডস’ উপন্যাসের মাধ্যমে প্রথম আলোচনায় আসেন স্যালি রনি। পরে ২০১৮ সালে প্রকাশিত ‘নরমাল পিপল’ তাকে বিপুল খ্যাতি এনে দেয়। এই উপন্যাস অবলম্বনে পরে টিভি সিরিয়াল তৈরি করা হয়।
সময় জার্নাল/এলআর