মোঃ আবদুল্যাহ চৌধুরী, নোয়াখালী: কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননার প্রতিবাদে নোয়াখালীর হাতিয়াতে ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ এক মুসল্লিকে আটক করে।
আটককৃত মো. সোহলে (২৫) হাতিয়া পৌরসভার ৩নম্বর ওয়ার্ডের আবুল কালামের ছেলে।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে হাতিয়া পৌরসভার এলাকার মাষ্টার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, কুমিল্লায় পূজা মন্ডপে পবিত্র কুরআন অবমাননাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে হাতিয়া পৌরসভার ওছখালী মোড় থেকে পবিত্র কুরআন অবমাননাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শতাধিক মুসল্লি মাষ্টার পাড়া শ্রী কালী মন্দিরের দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাঁধা দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ২-৩ টি হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরের জানালা ও বেড়া ভাংচুর করে এবং পূজা মন্ডপের গেটের কাপড় ছিঁড়ে ফেলে।
এ ছাড়াও কোরআন অবমাননার প্রতিবাদে জেলার চাটখিল, বেগমগঞ্জ ও সুবর্ণচর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
চাটখিল থানা সূত্রে জানা যায়, কোরআন অবমাননার প্রতিবাদে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে আসর নামাজ শেষে চাটখিল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে নামাজ শেষে ৫০-৬০ জন মুসল্লি বিক্ষোভ মিছিল করে।
বেগমগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, মাগরিবের নামাজের পর বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের রাজগঞ্জ বাজারে ২০-২৫ জন মুসল্লি বাজারের মসজিদ থেকে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করে। মিছিলে তারা ‘‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই নাস্তিকের ফাঁসি চাই’’ বলে শ্লোগান দেয়।
চরজব্বার থানা সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুবর্ণচর উপজেলায় চরওয়াপদা ইউনিয়নের খাসের হাট বাজারে কুমিল্লার কোরআন অবমাননাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ৫০০-৬০০ মুসল্লি বিক্ষোভ মিছিল করে। সুবর্ণচর উপজেলার বিভিন্ন মসজিদ থেকে মুসল্লিরা দলে দলে এ মিছিলে যোগদান করে।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহীদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি আরো জানান, যে কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
এমআই