মাসকুড়া জান্নাত মিমঃ
আমি মিম। পড়াশোনা করছি ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ডিসিপ্লিনে, খুলনা ইউনিভার্সিটিতে। এর পাশাপাশি চালাচ্ছি একটি অনলাইন বুটিক শপ, যার জন্ম করোনাকালীন সময়ে।
শুরু করার গল্প টা সত্যি বলতে খুব দূরদর্শী ছিল, এমন টা না। লক ডাউনে বাসায় এসে কিছুই করার ছিল না, অনলাইনের ক্লাশ তখনো শুরু হয় নি।। তখন জীবনের কিছু পরিস্থিতির জন্য প্রচন্ড হতাশায় ভুগতাম। সেই হতাশা থেকে জন্ম নিলে হতাশা থেকে বের হবার উপায় খোঁজ করা।।
ছোট থেকেই আকাআকি,নিজেই ডিজাইন করে জামা পরার প্রতি একটা ঝোক ছিল।। সেখান থেকেই, আমার বোনের জন্য একটি ড্রেস বানিয়ে তার জন্মদিন এ গিফট করি, তার কিছু ফটোগ্রাফিও করি, ভালো লাগে।
এর পর ঘরে শুধু শুধু বসে না থেকে ঘরের যত কাপড় ছিল, কাজে লাগানোর কথা ভেবে আম্মুকে আমার মন মত৷ বানিয়ে দিতে বলি। আমার আম্মুর শখ ছিল আমাদের তিন বোনকে নিজের পছন্দসই ডিজাইনের জামা পড়ানো। আম্মুও আমার মন মত জামা বানিয়ে দিতে লাগল, আর আমি নিজের মত কিছু করলাম, যা আমি ছাড়া আর কোথাও কেও করবেনা।
এরপর নিজের ৫ হাজার টাকা নিয়ে নেমে পড়লাম, তখন স্বপ্ন, নিজের ডিজাইন দিয়ে পেইজ ভরে ফেলব,
প্রতিটা ড্রেস ডিজাইন করতাম এসব বিবেচনা করেঃ
১. এই ড্রেস সেল না হলে আমার ই একদম ইউনিক একটা ড্রেস হবে।
২, এই ড্রেস সেল না হলে আমি ই পরব, কিন্তু খুব সুন্দর হতেই হবে
৩, কাস্টমার লক্ষি, নতুন পেইজ, সুতরাং শ্রমের বিকল্প নাই। অরডার আসতে থাকল, তখন উই তে এড হলাম, পোস্ট করে প্রচুর সাড়া পেয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ। এর জন্য উই এর কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
রেগুলার পেইজ, পোস্ট বুস্টিং ও শুরু করলাম।।
এরপর আলহামদুলিল্লাহ,৷ আর পেছনে তাকাতে হয় নি।।।
এখন পর্যন্ত সেল ৩ লাখের কাছে। এই বছরের এখন পর্যন্ত সেল ৮০,৩০০ টাকা।
আলহামদুলিল্লাহ! আলহামদুলিল্লাহ! আলহামদুলিল্লাহ!
পরিকল্পনাঃ
আমার ছোট থেকেই থার্ড জেন্ডার দের নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা ছিল। আমি যেহেতু ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ এ পড়ছি, সেই সুবাদে থিসিস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি হিউম্যান রাইটস এর উপর যা থার্ড জেন্ডার দের এম্পাওয়ারমেন্ট নিয়ে।
এর বড় একটি কারণ, পটুয়া রাণীকে একটি বড় প্ল্যাটফর্মে নিয়ে যাবার স্বপ্ন দেখি, যেখানে একটি কারখানা থাকবে, কয়েকটি আউটলেট থাকবে।।। যেখানে সকল কর্মী হবে থার্ড জেন্ডার।।।
হাঁটি হাঁটি পা পা করে পটুয়া রাণী এগিয়ে যাচ্ছে, আপনাদের
শুভ কামনা
আমার একান্ত কাম্য।
ওনার অফঃ পটুয়া রাণী
সময় জার্নাল/এমএম/ইএইচ