.............
সমুদ্রের নীল লবণ, বিপুল ফেনীল ঢেউ
অস্তগামী সূর্যের কিরণ যখন তোমার কোমল পায়ের ওপর ঝাঁপটে পড়ে,
ঠিক তখনই আমি চেয়ে দেখি ধুসর বিষণ্ন জলচর পাখিটার দিকে,
বাতাসের গতির কাছে তার সলাজ আত্মসমর্পণ,
দেখি ওর নিয়ত আসা-যাওয়া আর সোনালী উড়ান;
দেখি সেই পাখিটার পাখার চঞ্চলতা, সরল নিভাজ শরীরে কীভাবে তড়িৎ খেলা করে
নিপুণ ভঙ্গিমায়,
দেখি ওর দেহের কোমল সারস,
একটু একটু করে ওর নিঃসীম নীলে হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন উড্ডয়ন--
একটি সূর্যের ভেতর
বিলীয়মান শিশিরের মতো তার মিশে যাওয়া।
দেখি ওর হৃদয় কন্দরের সূক্ষ্ম ইঙ্গিত, লহমায় হারিয়ে যাওয়া।
আর এর মাঝখানে তুমি সাগর সঙ্গম ছেড়ে উঠে আসো,
ফিরে যাও চিরচেনা পৃথিবীতে,
যেন অনুনাদী ভাস্কর্য এক, যেন বালিতে ঝলসানো এক নিখাদ ভেনাস ।
তুমি পাহাড় কেটে চলে যাও ফুরফুরে বাতাসের মতো
হরিণ পায়ে, সবুজের ঘোমটা খুলে,
যেন সবেমাত্র প্রাণ পাওয়া কিশোরী তিতাস।
তোমার নিবিড় চুলে বিম্বিত হয় মহাবিশ্বের সকল সূর্য-অলংকার।
তবু আমি চেয়ে থাকি সেই পাখিটার দিকে।