আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সাধারণ কাশ্মিরিদের ওপর আক্রমণ ও সীমান্তে অনুপ্রবেশের অভিযোগ তুলে তা বন্ধ না করলে ফের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের জন্য পাকিস্তানকে তৈরি থাকতে বলেছেন বিজেপি প্রধান ও ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।পাকিস্তানকে তার হুঁশিয়ারি, প্রথম সার্জিক্যাল স্ট্রাইক প্রমাণ করেছিল, আমরা এ সব বরদাস্ত করব না। এর থেকে শিক্ষা না নিলে এ রকম আরো হবে।
তবে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দেয়ার পর নিজ দেশেই সমালোচনার শিকার হয়েছেন গেরুয়া হিন্দুত্ববাদী দলের প্রধান অমিত শাহ। তাকে কটাক্ষ করেছে পশ্চিমবঙ্গের নেত্রীর দল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল নেতা সৌগত রায়ের দাবি, পুলওয়ামায় হামলা রুখতে ব্যর্থ হয়েছিল মোদি-অমিত শাহের সরকার।
বৃহস্পতিবার গোয়ার ধরবান্দোরায় জাতীয় ফরেন্সিক সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানেই সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও গোয়ার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী পরলোকগত মনোহর পর্রীকর সম্পর্কে বলতে গিয়ে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দেন অমিত।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী মৃত মনোহর পর্রীকরের নেতৃত্বে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে আমরা এই বার্তাটুকু দিতে পেরেছিলাম যে আমাদের সীমান্ত এলাকায় কাউকে বরদাস্ত করা হবে না।
উরি, পাঠানকোট ও গুরুদাসপুরে উগ্রবাদী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের ওপর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালায় ভারত। পাকিস্তানের ভূখণ্ডে একাধিক উগ্রপন্থী ঘাঁটি গুড়িয়ে দেয় ভারতের বোমারু বিমান। পাকিস্তান অবশ্য প্রকাশ্যে এই হামলার কথা স্বীকার করেনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক মন্তব্যে দেশটির রাজনীতির পরিবেশ ঘোলা হতে শুরু হয়েছে। তৃণমূলের প্রবীণ সংসদ সদস্য সৌগত রায় বলেন, যদি এখন ভারতে উগ্রপন্থী হামলার ঘটনা ঘটে, তাহলে আবার সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের জন্য আমাদের সমর্থন থাকবে। ঠিক যেমন আগের বার হয়েছিল। কিন্তু তবুও প্রশ্ন থেকে যায়, পুলওয়ামা উগ্রপন্থী হামলা কেন রুখতে পারলেন না মোদো-শাহেরা? এটাই কি তাদের ব্যর্থতার অন্যতম নজির নয়?
সময় জার্নাল/এলআর