নিজস্ব প্রতিনিধি: পলিসমৃদ্ধ জমিতে পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন করে কৃষিশ্রমিক হায়দার আলী এখন স্বাবলম্বী। ১৩ বছর পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন করে এখন প্রায় অর্ধকোটি টাকার মালিক তিনি। পাবনার চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের চলনবিল অধ্যুষিত কাটেঙ্গা গ্রামে বাস করেন হায়দার আলী
হায়দার আলী লেখাপড়া করেননি। পোড় খাওয়া জীবনে অনেক কষ্ট ভুলে গেছেন। তবে যে কৃষি প্রশিক্ষণ তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে, তা এখনো ভোলেননি। কৃষি কর্মকর্তা খালেকের নির্দেশনা এখনো তার কানে বাজে।
হায়দার আলী জানান, পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন দিয়ে শুরু করলেও পরবর্তীতে তিনি ধান, সবজি, পাট, ফুলকপি, বাঁধাকপি ও রসুন চাষ ও এর বীজ উৎপাদনের প্রশিক্ষণ নেন। তবে বর্তমানে তিনি পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনে বেশি নজর দিয়েছেন।
হায়দার জানান, চলতি বছর তার ঘরে এসেছে আট মণ ২০ কেজি পেঁয়াজ বীজ। মৌসুমের শুরুতে যদি তিনি এ পেঁয়াজ বীজ বিক্রি করতেন, তবুও অন্তত চার লাখ টাকা পেতেন। তবে বীজ ঘরে সংরক্ষণ করায় মৌসুমের শেষে এসে বীজের দাম বেড়েছে। কেজিপ্রতি চার হাজার টাকা দরে বিক্রির আশা করছেন তিনি। প্রত্যাশা অনুযায়ী দাম পেলে এবার প্রায় ১০ থেকে ১১ লাখ টাকার পেঁয়াজ বীজ বিক্রি করতে পারবেন হায়দার।
বাড়ির সঙ্গে জমি কিনে, কিছু জমি লিজ নিয়ে মাছ চাষের জন্য পুকুর খনন করেছেন। পুরো বাড়িটা এখন খামার।
হায়দার আলী আরও বলেন, ‘বছরে এখন সর্বসাকুল্যে আমি প্রায় ৬০ লাখ টাকা আয় করতে পারছি। নিজে পড়ালেখার সুযোগ না পেলেও সন্তানদের স্কুলে পাঠাচ্ছি। তাদেরকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করতে চাই।’
সময় জার্নাল/এলআর