মাহবুবুল হক খান, দিনাজপুর প্রতিনিধি:
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে দিয়ে শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন পালিত হয়েছে ও করোনা টিকাদান কর্মসূচীর উদ্ভোধন করা হয়েছে। সোমবার (১৮ অক্টোবর) কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল সাড়ে ৮ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে স্থাপিত শহীদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন হাবিপ্রবি’র ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম কামরুজ্জামান।
এ সময় হাবিপ্রবির সম্মানিত ট্রেজারার প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক উপস্থিত ছিলেন। এরপর সকাল ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি’র সামনে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন ও শেখ রাসেল হলের সামনে বৃক্ষরোপণ করেন তিনি ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম কামরুজ্জামান।
সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম কামরুজ্জামান। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার, দিনাজপুরের সিভিল সার্জন ডা. মোঃ আব্দুল কুদ্দুছ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ^বিদ্যালয়ের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. মোঃ নজরুল ইসলাম। এ সময় ভাইস-চ্যান্সেলর বলেন, আজ শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন পাশাপাশি হাবিপ্রবির জন্য গুরুপ্তপূর্ণ একটি দিন। জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় কোভিড-১৯ এর টিকা আমাদের হাতের নাগালে চলে এসেছে। অথচ বিশ্বের অনেক দেশই ঠিক মতো টিকা কার্যক্রম চালাতে পারছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ক্যাম্পাসে সহজেই টিকা দিতে পারবে। টিকাদান কর্মসূচির সাথে জড়িত সকলকে তিনি ধন্যবাদ জানান।
সকাল ১১ টায় ভিআইপি কনফারেন্স রুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে “আলোকচিত্রে শহীদ শেখ রাসেল” শীর্ষক ডিজিটাল আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ভাইস-চ্যান্সেলর। এ সময় জাতির পিতাসহ ১৫ আগস্ট ঘাতকদের হাতে নিহত সকল শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, পৃথিবীতে অনেক রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু এ রকম জঘন্যতম হত্যাকান্ড আর একটিও নেই। যেখানে একটি শিশুকে পর্যন্ত নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে কমপক্ষে এক ডোজ টিকা নেয়াসহ বিভিন্ন শর্তসাপেক্ষে সোমবার (১৮ অক্টোবর) থেকে হাবিপ্রবি’র হল খুলে দেয়া হয়েছে। সোমবার তাজউদ্দীন আহমেদ হল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল খুলে দেয়া হয়। আগামিকাল ও পরশু পর্যায়ক্রমে বাকি হলগুলো খুলে দেয়া হবে বলে জানান বিশ^বিদ্যালয়ের গনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. শ্রীপতি সিকদার।
সময় জার্নাল/এলআর