হাবিপ্রবি প্রতিনিধি: দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) আবাসিক হল পর্যায়ক্রমে আজ থেকে খুলে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর পর হলে ফিরতে শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার(১৮ অক্টোবর) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ টি আবাসিক হলের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও তাজউদ্দীন আহমেদ হল কর্তৃপক্ষ ফুল ও মাস্ক দেয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিয়েছে।
শিক্ষার্থীরা হলে ফেরায় ক্যাম্পাসে উৎসবের হাওয়া লেগেছে। আবার প্রাণ ফিরে পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়।
হলে ফেরা শিক্ষার্থীরা বলেন, এই মুহূর্তকে তাদের কাছে ঈদের আনন্দের মতো মনে হচ্ছে। দেড় বছর পর আবার শিক্ষার পরিবেশে ফিরে যাওয়া। সহপাঠী থেকে শুরু করে শিক্ষকদের সাথে সাক্ষাত অনেক ভালো লাগছে বলে জানিয়েছেন তারা।সেশনজট এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসননের নেয়া পদক্ষেপে খুশি শিক্ষার্থীরা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছাত্র আখতারুজ্জামান বলেন, ‘অনেক দিন পর হলে ফিরে মনে হচ্ছে যেন আপন নীড়ে ফিরে এসেছি। বন্ধুবান্ধব সবাই মিলে সেই পুরোনো আনন্দমুখর দিনগুলোর সূচনা হলো আরেকবার। এ অনুভূতি আসলে ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।’
প্রথম বর্ষ ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা এতে কিছুটা মনঃক্ষুণ্ন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম বর্ষের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, ক্যাম্পাসে ক্লাস শুরুর কিছুদিন পরই মহামারির কারণে হল বন্ধ হয়ে যায়। দেড় বছর ধরে হলে ফেরার জন্য মুখিয়ে আছেন তারা। কিন্তু হল খুললেও তারা উঠতে পারছেন না। এটা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে তাদের।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সহকারী হল সুপার সহকারী অধ্যাপক ড.মোঃ আজিজুল হক বলেন,‘শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে,শিক্ষার্থীদের ফুল ও মাস্ক দিয়ে বরণ করে নিচ্ছি আমরা। মাননীয় উপাচার্যের দিক নির্দেশনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে শিক্ষার্থীদের বাসযোগ্য করে গড়ে তোলা হয়েছে।
নির্দেশনার বাইরে কেউ যদি হলে প্রবেশ অথবা অবস্থান করে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সার্বিক বিষয়ে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হল সুপার কাউন্সিলের আহ্বায়ক ও ডরমিটরি-২ হলের হল সুপার অধ্যাপক ড. মোঃ গোলাম রাব্বানী বলেন, আমরা আনন্দিত দীর্ঘ বন্ধের পর শিক্ষার্থীরা হলে ফিরেছে। তাদের বরণ করে নিতে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। মাননীয় উপাচার্য স্যারের একান্ত প্রচেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনার টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা স্বাস্থ্য বিধি মেনে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবো।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. কামরুজ্জামান দুপুর ১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হল পরিদর্শন করেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের খোঁজ-খবর নেন তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, " স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করে আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল এবং তাজউদ্দীন আহমেদ হল খুলে দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকি হল সমূহ খুলে দেয়া হবে। তবে শিক্ষার্থীরা টিকা গ্রহণ করলেও সবসময় স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে "। এ সময় উপাচার্য যেসকল শিক্ষার্থীরা এখনো করোনার টিকার রেজিস্ট্রেশন করেনি তাদেরকে দ্রুত সময়ের মাঝেই রেজিস্ট্রেশন করার ব্যাপারে আহ্বান করেন।
সময় জার্নাল/আরইউ