আমি ক্ষেতখোলা, আমি গাছপালা,
আমি কিষাণের কুঁড়েঘর,
আমি খালবিল, আমি নদীনালা,
আমি অনুর্বর বালুচর।
আমি মঙ্গা কবলিত, আমি দারিদ্র্য পিরীত,
আমি অনগ্রসর চরাঞ্চল,
আমি রাজিবপুর, আমি রৌমারী,
আমি মুক্তিযুদ্ধের মুক্তাঞ্চল।
আমি আমার বুকে, গড়েছি অমর ইতিহাস,
স্বাধীন বাংলাদেশের করেছি সুচনা,
বাঁশের লাঠি, থ্রিনটথ্রি বন্দুক দিয়ে করেছি,
মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষন শিবির রচনা।
আমার বুকে, একটিবারের জন্য পা পরেনি,
পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর,
আমার বুকেই, নিরাপদে আশ্রয় দিয়েছি,
অগনিত বীর মুক্তিযোদ্ধার।
আমার বুকে যুদ্ধ করে, খেতাব পেয়েছে,
জিয়াউর রহমান বীরউত্তম,
আমার বুকেই, বীরপ্রতীক খেতাব পেয়েছে,
দুঃসাহসী গৃহবধূ তারামন।
দারিদ্র্যমুক্ত, বৈষম্যহীন, একটি সমাজ বিণির্মান,
অন্তরে স্বপ্ন, মুখে নিয়ে স্লোগান,
কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, শিক্ষক গড়েছিলো ঐক্য,
স্বাধীনতার মন্ত্রে হয়ে বলিয়ান।
আজ, শোনো বিশ্ববাসী,
শোনো বিশ কোটি বাংলাদেশী,
স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেও কেনো, এতো বৈষম্য?
কেনো ধনী গরীবের, আকাশ ছোঁয়া ব্যবধান?
কেনো আমার বুকে, দোর্দন্ডপ্রতাপে হাটে,
জুলুমবাজ, সন্ত্রাসী, চোরাকারবারি?
আমি খুব ব্যাথা পাই, তোমাদের বলি তাই,
জঞ্জালমুক্ত করো তাড়াতাড়ি।
বৈষম্য ঘোচাও, সমতা ফেরাও, অনিয়ম করো নির্মূল,
নাহলে সাইক্লোন হয়ে, বাঁধাবো আমি হুলুস্থুল।
তোমরা দিশেহারা হবে, হবে উদভ্রান্ত চঞ্চল,
আমি মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় মুক্ত স্বাধীন মুক্তাঞ্চল।
মোজাম্মেল হক