নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর চৌমুহনী বাজারের পূজামন্ডপ, মন্দির, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও হত্যার ঘটনায় গতকাল ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্তকৃত আটক ৮ জনের মধ্যে ৩ জন গতকাল শনিবার বিকেলে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
রোববার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহীদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এ নিয়ে ৪ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানকৃতরা হলেন, রিপন আহাম্মেদ মাহীর (১৯), আরাফাত হোসেন আবির (১৮) ও ইব্রাহিম খলিল ওরফে রাজিব (২৪)। এর আগে, বৃহস্পতিবার চৌমুহনী পৌরসভার করিমপুর গ্রামের আবদুল হাশিম এর ছেলে আবদুর রহিম সুজন (১৯) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছিল। এর আগে, ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্তকৃত ও গ্রেপ্তারকৃত ৮ জন ও সন্দেহভাজন ৫ জন সহ ১৩ জনকে আটক করা হয়।
ফুটেজ দেখে শনাক্তকৃত আটক ৮ আসামি হলো, সুবর্ণচর উপজেলার চর জব্বর ইউনিয়নের চর বহুলা গ্রামের আবু তাহের এর ছেলে ফরহাদ (২৬), চৌমুহনী পৌরসভার গণিপুর গ্রামের মৃত সাহাব উদ্দিন এর ছেলে মো.শামীম (২৭), একই গ্রামের জয়নাল আবেদিন এর ছেলে রিপন আহাম্মেদ মাহীর (১৮), বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানি ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের দেলোয়ার এর ছেলে জহিরুল ইসলাম জুয়েল (১৯), হাজীপুর ইউনিয়নের নুরুল হক ভূইয়া এর ছেলে ইব্রাহিম খলিল ওরফে রাজিব(২৪), ছয়ানি ইউনিয়নের ছোট শরীফপুর গ্রামের কামরুল হাসান এর ছেলে আরাফাত হোসেন আবির (১৮), চৌমুহনী পৌরসভার মধ্যম নাজিরপুর গ্রামের মৃত বাবুল হেসেন এর ছেলে দুলাল হোসেন (৪০) ও সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের তাজুল ইসলাম এর ছেলে কামাল হোসেন (৪৫) এবং পূজা মন্ডপে হামলাকারী সন্দেহভাজন আসামী হিসেবে বেগমগঞ্জ উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের নরোত্তমপুর গ্রামের আবদুস সাত্তার এর ছেলে শহীদ (৪৫), চৌমুহনী পৌরসভার গণিপুর গ্রামের এতিম আলীর ছেলে হুমায়ুন (৬৩) (ইসকন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সনাক্তকৃত), একই গ্রামের আবুল কাশেম এর ছেলে মোঃ কাশেম বিন আবু জুবায়ের অরিন (২৫), মো. মোস্তফার ছেলে ইমাম হোসেন রাজু (২৮) ও বাবলু মিয়ার ছেলে মোঃ আলাউদ্দিন (৩৫)।
এসপি মো.শহীদুল ইসলাম আরো জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে বিভিন্ন মামলায় বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।