এহসান রানা , ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার যদুনন্দি ইউনিয়নে আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়। এসময় পুলিশসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় ১৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সালথা থানা পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে।
নিহত মারিজ শিকদারের বোন রিক্তা অভিযোগ করে বলেন, সংঘর্ষের সময় আমার ভাইকে ধরে নিয়ে ঘরের মধ্যে কুপিয়ে মেরে ফেলেছে টুকু ঠাকুরের লোকজন। আমরা এ হত্যার সুষ্ট বিচার চাই।
এ দিকে টুকু ঠাকুরের সমর্থকরা অভিযোগ করে জানান, সংঘর্ষে মারিজ শিকদার নিহতের জেরধরে শনিবার রাতে ও রবিবার সকালে দফায় দফায় হামলা চালিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আলমগীর মিয়ার বাড়ি, সংসদ উপনেতার সাবেক এপিএস আবু বকর সিদ্দিকের বাড়ি ও ইউপি সদস্য ইমরুল খানের বাড়িসহ অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে নিয়ে যায় ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিক মোল্যার সমর্থকরা।
সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আশিকুজ্জামান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাবার বুলেট ও টিয়াসেল নিক্ষেপ করে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনে। এসময় পুলিশসহ বেশ কিছু লোক আহত হয়। সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ বাদি হয়ে একটি মামলা করা হয়েছে। এছাড়াও নিহত মারিজ শিকদারের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য, শনিবার বিকেল তিনটার দিকে যদুনন্দি ইউনিয়নের খারদিয়া গ্রামে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিক মোল্যার সমর্থকদের সাথে আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুজ্জামান টুকু ঠাকুরের সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষ বাধে। এসময় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিক মোল্যার সমর্থক মারিজ গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কত্যর্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। এছাড়াও এই সংঘর্ষে পুলিশসহ উভয় পক্ষের প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছে।
সময় জার্নাল/এলআর