রেজাউল করিম রেজা, কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামের উলিপুরে অপহরণের ২ মাস ৭দিন পর মাদ্রাসা ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় অপহরণের অভিযোগে সুমন মিয়া (২০) নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) আদালতে প্রেরন করা হয়। অপহৃত ছাত্রী স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত ০৯ জানুয়ারী বাড়ির পাশ্ববর্তী এলাকা থেকে তাকে অপহরণের করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের গুনাইগাছ পূর্বপাড়া গ্রামের সুমন মিয়া মাদ্রাসায় যাতায়াত করার সময় ওই ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাবসহ কু- প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। প্রস্তাবে ছাত্রী রাজি না হওয়ায় সুমন মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে অপহরনের হুমকি দেয়। পরে বিষয়টি ছাত্রী তার বাবাকে অবগত করেন। এরপর ছাত্রীর পিতা সুমনের পরিবারকে জানালে সে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
ঘটনারদিন গত ০৯ জানুয়ারী দুপুরে ওই মাদ্রাসা ছাত্রী পাশ্ববর্তী বাড়িতে কাপড় কাটা শেখার জন্য যাওয়ার পথে সুমন মিয়াসহ কয়েকজন তাকে জোর পূর্বক একটি জেএস গাড়িতে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এরপর স্থানীয় লোকজন বিষয়টি দেখে ওই ছাত্রীর পরিবারকে জানান। পরে ছাত্রীর পিতা সুমনের পরিবারকে বিষয়টি জানালে তারা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। পরবর্তীতে সুমনের পরিবার কৌশলে সময় ক্ষেপন করতে থাকে।
তাদের অসহযোগিতায় মেয়েকে ফিরে না পেয়ে অবশেষে ৬ ফেব্রুয়ারী ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে সুমন মিয়াকে প্রধান আসামি করে আরও ৫ জনের নাম উল্লেখ করে উলিপুর থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
থানা পুলিশ জানায়, অপহৃত ছাত্রীর পিতা থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় ১৬ মার্চ রাতে ঢাকার টঙ্গি পশ্চিম থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে উদ্ধার করে। এ সময় অপহরণের অভিযোগে সুমন মিয়াকে আটক করা হয়।
উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ইমতিয়াজ কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উদ্ধারকৃত মাদ্রাসা শিক্ষার্থীসহ আটক আসামীকে বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সময় জার্নাল/এমআই