স্পোর্টস ডেস্ক: দিনের পর দিন, মাসের পর মাস চলে যাচ্ছে-ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না বার্সেলোনার আক্রমণভাগ। রায়ো ভাইয়েকানোর বিপক্ষেও দলটির সেই একই দশা। শেষ দিকে সহজ একটা সুযোগ এসেছিল বটে; কিন্তু পেনাল্টি পেয়েও মেমফিস ডিপাই কাজে লাগাতে না পারায় কাতালান ক্লাবটির সঙ্গী হলো আরেকটি পরাজয়।
প্রতিপক্ষের মাঠে বুধবার লা লিগার ম্যাচটি ১-০ গোলে হেরেছে রোনাল্ড কুমানের দল। স্বাগতিকদের জয়সূচক গোলটি করেন রাদামেল ফালকাও।
লা লিগায় এই নিয়ে টানা দুই ম্যাচ হারল বার্সেলোনা, শেষ চার ম্যাচে তিনটি। গত রোববার ঘরের মাঠে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে হারে পিকে-বুসকেতসরা।
পুরো ম্যাচে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের উদ্দেশ্যে ১৬টি শট নেয় বার্সেলোনা, যদিও কেবল একটিই ছিল লক্ষ্যে। আর ভাইয়েকানোর ১৩ শটের তিনটি লক্ষ্যে ছিল।
দুদিনের ব্যবধানে ফ্রেংকি ডি ইয়ং ও আনসু ফাতিকে হারানোর ধাক্কা খেয়ে মাঠে নামা বার্সেলোনা শুরুতে একটু এলোমেলো হলেও ধীরে ধীরে বল দখলে রেখে আক্রমণে উঠতে থাকে। প্রথমবারের মতো শুরুর একাদশে সুযোগ পাওয়া সের্হিও আগুয়েরো পঞ্চদশ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে গোলরক্ষকে একা পেয়েছিলেন, তবে প্রতিপক্ষের চ্যালেঞ্জে হারিয়ে ফেলেন পজেশন।
২০তম মিনিটে বিপদ হতে পারতো। রাদামেল ফালকাওয়ের শটে বল ডিফেন্ডার জেরার্দ পিকের পায়ে লেগে একটু দিক পাল্টে গোলের লক্ষ্যে ছিল। এক হাতে রুখে দেন গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন।
৩০তম মিনিটে কিছুটা নিজেদের ভুলে পিছিয়ে পড়ে বার্সেলোনা। মাঝমাঠে তাদের অধিনায়ক সের্হিও বুসকেতসের পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে সামনে বাড়ান অস্কার ত্রেহো। আর ফালকাও বল ধরে ডি-বক্সে ঢুকে সঙ্গে লেগে থাকা পিকেকে কাটিয়ে কোনাকুনি শটে গোলটি করেন। বল দূরের পোস্টের ভেতরের কানায় লেগে জালে জড়ায়।
মৌসুমের শুরু থেকে ফিনিশিংয়ে ধুঁকতে থাকা বার্সেলোনা প্রথমার্ধে ৭০ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের উদ্দেশ্যে ছয়টি শট নেয়। কিন্তু তার একটিও ছিল না লক্ষ্যে।
দ্বিতীয়ার্ধের দশম মিনিটে দারুণ একটি সুযোগ পান আগুয়েরো। কিন্তু ছয় গজ বক্সের ডান দিক থেকে তার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তিন মিনিট পর বক্সে থেকেই তার আরেকটি শট রক্ষণে প্রতিহত হয়।
৭২তম মিনিটে পেনাল্টি পেয়েও দলকে সমতায় ফেরাতে ব্যর্থ হন মেমফিস। তিনি নিজেই ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় বার্সেলোনা। তবে তার স্পট কিক ডান দিকে ঝাঁপিয়ে ফেরান নর্থ মেসিডোনিয়ার গোলরক্ষক স্তই দিমিত্রিয়েস্কি।
বার্সেলোনার হয়ে শততম ম্যাচ খেলতে নামা ফিলিপে কৌতিনিয়োর দিনটা কাটে হতাশায়। ৭৪তম মিনিটে তাকে তুলে তরুণ মিডফিল্ডার গাভিকে নামান কোচ।
আট মিনিট যোগ করা সময়ের শেষ দুই মিনিটে দারুণ দুটি সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি বার্সেলোনা। দুরূহ কোণ থেকে আগুয়েরোর হেড পাশের জাল কাপানোর পর অরক্ষিত গাভির নেওয়া শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়ে যায়।
মৌসুমে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে প্রতিপক্ষের মাঠে পাঁচ ম্যাচ খেলে জয়শূন্যই রইলো বার্সেলোনা।
লা লিগায় ১০ ম্যাচে চার জয় ও তিন ড্রয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে আছে তারা। ১১ ম্যাচ খেলা ভাইয়েকানো ৪ পয়েন্ট বেশি নিয়ে আছে পাঁচ নম্বরে।
১০ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে সেভিয়া। ৯ ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ২০।
এমআই