এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে পাল্টাপাল্টি উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
বুধবার বিকেলে আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থীর সমর্থকেরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
এ ভাংচুরের ঘটনায় স্থানীয় রইস ও আক্কাস নামের দুই যুবক আহত হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তালমা ইউনিয়নে উত্তেজনাকর ও ভীতিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
সরেজমিনে গেলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায় , আগামী ১১ নভেম্বর তালমা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চান দলের একাধিক প্রার্থী। এদের মধ্যে অধ্যাপক রনজিত কুমার মন্ডলকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়। অপরদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক চেয়ারম্যান আবু সহিদ মিয়ার বড় ছেলে কামাল হোসেন মিয়া স্বতন্ত্র প্রার্থীর হওয়ায় স্থানীয় আঃ লীগের নেতা কর্মীরা দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে ।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী যুবলীগ কর্মী জাকির হোসেন জানান, মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোসেন মিয়ার বিলনালিয়া নতুন বাজারের একটি অফিসে বসে কয়েকজনের সাথে আলাপচারিতা লিপ্ত ছিল তালমা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তৈয়বুর রহমান।
বিকেলে সাড়ে চারটার দিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর দুই শতাধিক সমর্থক নৌকার স্লোগান দিয়ে অফিসে থাকা যুবলীগ নেতা রইস ও আক্কাস নামের দুই যুবককে মারপিট করে।
এ সময় তারা অফিসে হামলা চালিয়ে চেয়ার-টেবিল ও অফিসটি ভাঙচুর করে। পরে তারা অফিসে থাকা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তৈয়বুর রহমানকে ধাওয়া করে। তিনি একটি বাড়ীতে আশ্রয় নিলে সেখানে গিয়ে হামলাকারীরা বাড়ী ভাঙচুর করে।
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোসেন মিয়া বলেন, আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আবার বাবা দীর্ঘদিন এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। আমার মা বর্তমান চেয়ারম্যান হিসাবে রয়েছেন। আমার পরিবার আওয়ামী পরিবার। আমি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় প্রতিপক্ষের লোকজন আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়। তারা আমার নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করেছে। দুইজনকে পিটিয়ে আহত করেছে।
এ ভাংচুরের বিষয়ে তালমা ইউনিয়নের আ লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যাপক রনজিত কুমার মন্ডল জানান , আমার সমর্থিত লোকজন ঐ এলাকা দিয়ে যাবার পথে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোসেনের সমর্থক রইস নামে এক ব্যক্তি বাজে উক্তি করলে দুই গ্রুপের ধাওয়া ও পালটা ধাওয়া হয় ।
সময় জার্নাল/এলআর