এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এক মনোনয়ন প্রত্যাশীর ফাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ফাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগকারী শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) রাতেই উপজেলা আ'লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর এ অভিযোগ করেন। শুক্রবার সন্ধ্যার ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ অভিযোগকারীসহ ৫জনকে আটক করেছে।
অভিযোগ এবং স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার দাদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ গত ২৯ অক্টোবর শুক্রবার রাঙ্গামুলার কান্দী হাজী আব্দুল্লাহ একাডেমির হলরুমে আসন্ন ইউপি নির্বাচন উপলক্ষে বর্ধিত সভার আয়োজন করে। ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাজ্জাদুর রহমান হাই আসন্ন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। ওই ইউনিয়ন আ'লীগের সহ-সভাপতি মোঃ হারুন অর রশিদ ও চেয়ারম্যান পদে আ'লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। শুক্রবার সন্ধ্যায় চলমান বর্ধিতসভার এক পর্যায়ে হারুন অর রশিদ এর নেতৃত্বে একদল লোক সাজ্জাদুর রহমান হাই এর ফাইল ছিনিয়ে নেয়। পরে হট্টগোলের মধ্যেই সভা বানচাল হয়ে যায়।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় শেখ সাজ্জাদুর রহমান হাই এর ছেলে উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মঞ্জুর হোসেন তুষার দাদপুর ইউনিয়ন এর চিতারবাজারে একটি চায়ের দোকানে বসে ছিল। এসময় অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী হারুন অর রশিদ এর শ্যালক ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বাবলু, ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মিনার, শাহজাহান পেয়াদা সহ ৫-৬ জন অতর্কিতে তুষারকে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করে।
এঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উভয় পক্ষের ৫ জনকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন মনোনয়ন প্রত্যাশী সাজ্জাদুর রহমান হাই, হারুন চৌকিদার, এরশাদ সেক,ওবায়দুর সেখ ও শাহাজান সেক।
বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুল আলম বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে উভয় পক্ষের ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন পক্ষে থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি।
এমআই